লন্ডন-ব্রাসেলস ‘স্নায়ুযুদ্ধ’

ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি ইস্যুতে ব্রিটিশ-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। তবে যৌক্তিক সমাধানের জন্য প্রয়োজনে আরো কয়েক সপ্তাহ আলোচনা চালিয়ে যেত চান ইইউর শীর্ষ নেতারা। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি নয় যুক্তরাজ্য। তাদের ভাষ্য হচ্ছে, শুধু ব্রিটেনই কেনো নমনীয় হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

এ বিষয়ে আজ শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানা গেছে। অবশ্য ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে ব্রেক্সিট-জট খোলার কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি। এমনকি চুক্তির পথে প্রধান বাধাগুলো এখনো দূর হয়নি। উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যেই সম্মিলিতভাবে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার ডাক দিয়েছেন ইইউ নেতারা।

তারা এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহ আলোচনা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে লন্ডন ও পরের সপ্তাহে ব্রাসেলসে আলোচনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছেন ইইউর প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে।

প্রয়োজনে সপ্তাহান্তেও কাজ করতে আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে মত-পার্থক্যের ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে আশার আলো দেখা যেতে পারে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত ব্রিটিশ জলসীমায় ইইউর সকল সদস্য দেশগুলোর মাছ ধরার অধিকার, প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ন্যায্য পরিবেশের গ্যারান্টি ও বিরোধ মেটানোর আইনি কাঠামো, এই তিনটি ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছে না উভয় পক্ষ।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত করার সময়সীমা বেঁধে দিলেও ইইউ সেই হুঁশিয়ারি গ্রাহ্য করেনি। তারা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই আলোচনা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে হতাশা প্রকাশ করে প্রধান ব্রিটিশ মধ্যস্থতাকারী ডেভিড ফ্রস্ট এক টুইট বার্তায় ইইউর সমালোচনা করেছেন।