রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানে গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার দিক থেকে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানকে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প

আলোচিত এ সংকটটির সমাধানে চীনের আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে বলেও উল্লেখ করেন মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলিফোনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন তিনি।

স্টিফেন বিগান এবং এ কে আব্দুল মোমেন (ডানে)

এ সময় গত ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের বিষয় নিয়ে কথা বলেন স্টিফেন বিগান। তার ওই সফরটি স্মৃতিময় হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন স্টিফেন বিগান। সে বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি যা জানতেন, ওই আলোচনার মধ্য দিয়ে তার চেয়ে আরো বেশি জানার সুযোগ হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। বাংলাদেশের এই অগ্রগতির যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র আরো কত বেশি সহযোগী হতে পারে তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহযোগিতার বিষয় এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।

স্টিফেন বিগান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দিয়ে অত্যন্ত উদার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় দিয়েছেন। আর এটা বাংলাদেশের জনগণেরই মনোভাবের প্রতিফলন। এই সংকটের শুরু থেকেই তা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বর্তমানে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটা বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই বিবেচনা থেকেই এই সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারকে যেমন ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে তেমনি আরো ভাল ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে চীনেরও। 

স্টিফেন বিগান আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার তথা জনগণের সঙ্গে দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার সম্পর্ক আরো জোরদার কারতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় আছে। সম্প্রতি তার বাংলাদেশের সফরের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনের এই নীতির প্রতিফলনের বিষয়টি আরো জোরদার হয়েছে।