আপনি পড়ছেন

এবার সমালোচিত কাফালা পদ্ধতি বাতিলের কথা চিন্তা-ভাবনা করছে সৌদি আরবের সরকার। এর পরিবর্তে দেশটির সরকার নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের মধ্যে নতুন ধরনের চুক্তির কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

bangladeshi worker in saudi arabiaসৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিক

প্রসঙ্গত, কাফালা পদ্ধতি হলো- কোনো একজন ব্যক্তির অধীনে বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ। এর ফলে দেশটিতে শ্রমিকদের কোনো ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকে না। মানবাধিকার সংগঠনগুলো শুরু থেকেই এর সমালোচনা করে আসছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে প্রায় সাত দশক ধরে এই কাফালা পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই পদ্ধতির কারণে শ্রমিকদের তাদের নিয়োগকর্তার ইচ্ছামতো চলতে হয়। ফলে দেশটিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরা কোনো ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন না। যাকে অমানবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

saudi flagসৌদি আরবের পতাকা

জানা যায়, কাফালা পদ্ধতি ব্যবহার করে সৌদি আরবের কফিল বা নিয়োগকর্তারা আইনের মারপ্যাঁচে প্রবাসীদের নানভাবে হয়রানি করে থাকেন। দীর্ঘ দিনের এই পদ্ধতি বাতিল হলে প্রবাসীরা তাদের কর্মজীবনে খানিকটা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে তারা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী জীবনযাপন করার অধিকার পাবেন। শুরু থেকেই মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই কাফালা পদ্ধতির সমালোচনা করে আসছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে একটি নতুন উদ্যোগের কথা ঘোষণা করতে চাচ্ছে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর ফলে নিয়োগকারী এবং দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

খবরে আরো বলা হয়েছে, আগামী বছরের (২০২১) প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে বলে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

জানা যায়, সৌদিতে বর্তমানে কাফালা পদ্ধতির অধীনে এক কোটির বেশি বিদেশি শ্রমিক কর্মরত আছেন।