নিউজিল্যান্ডে বৈধতা পাচ্ছে স্বেচ্ছামৃত্যু!

ইচ্ছামৃত্যু বা স্বেচ্ছামৃত্যু বা ইথেনেশিয়াকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ইতোমধ্যে দেশটির বেশিরভাগ মানুষ এর পক্ষে রায় দিয়েছেন। আগামী বছরের শেষের দিকে এটি আইনে পরিণত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

নিউজিল্যান্ডে বৈধতা পেতে যাচ্ছে ইচ্ছামৃত্যু- প্রতীকী ছবি

দীর্ঘদিন ধরে নিউজিল্যান্ডে ইচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এবং বিরোধীদলীয় নেতা জুডিথ কলিন্সও এটিকে আইন বানিয়ে বৈধতা দেওয়ার বিষয়ে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় সম্প্রতি দেশটিতে অনুষ্ঠিত ভোটের সময় ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে জনগণের রায় জানতে একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়, ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে করা ওই ভোটের একাংশের ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার পাওয়া গেছে। দেশটির ৬৫ শতাংশ মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে তাদের রায় দিয়েছেন। আর বাকিরা বিপক্ষে। তবে ইথেনেশিয়া নিয়ে করা এই গণভোটের সম্পূর্ণ ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। এখনো পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়া জনগণের মতামত জানা বাকি। যা জানা যাবে আরো অন্তত ১ সপ্তাহ পর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে নিউজিল্যান্ডের জনগণ ইতোমধ্যে যে রায় দিয়েছে, তা পোস্টাল ব্যালটের ফল বদলাতে পারবে না। আর সেটি যদি হয়, তাহলে আগামী বছরের শেষের দিকেই এটি আইনে পরিণত হবে।

নিউজিল্যান্ড- ফাইল ছবি

তবে আইনে পরিণত হলেই যে কেউ ইচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করতে পারবে না। শুধু মৃতপ্রায় ব্যক্তিরাই এই আইনের মাধ্যমে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করতে পারবেন।

দেশটির আইনসভা জানিয়েছে, ইচ্ছামৃত্যু আইনে পরিণত হলে মৃতপ্রায় ব্যক্তিরা এর সাহায্যে তাদের জীবনের অবসান ঘটাতে পারবেন। তবে দুইজন চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে সম্মতি দিলে তারপর তিনি এ আইনটি গ্রহণ করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইচ্ছামৃত্যুকে বৈধতা দেওয়া নিয়ে মানুষ আন্দোলন করছে। কানাডা, নেদারল্যান্ডসের মতো কিছু দেশে ইতোমধ্য এটিকে বৈধতাও দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছে, বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত মৃতপ্রায় ব্যক্তিরা যেমন শারীরিক ও মানসিকভাবে যন্ত্রণা ভোগ করে, তেমনি তাদের চিকিৎসার পেছনে পরিবারের সদস্যদের অনেক শ্রম ও অর্থ খরচ করতে হয়। এমন মৃতপ্রায় ব্যক্তিদের কষ্ট লাঘবে চিকিৎসকদের সাহায্যে তাদের ইচ্ছামৃত্যুর ব্যবস্থা করা দরকার।