আপনি পড়ছেন

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শন ও ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রতিবাদে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ প্রদর্শিত হচ্ছে উপমহাদেশের দুই মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে। আর তা ফরাসি সরকারেরও নজরে পড়েছে। ফলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে সেখানে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে।

france marine le penমারিন লো পেন

এরই মধ্যে ফ্রান্সের বিরোধী রাজনৈতিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মারিন লো পেন দেশটিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানিদের অভিবাসনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সেখানে এই রাজনীতিক লেখেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে ও চরম আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভকারীরা ফরাসি রাষ্ট্রদূতের শিরশ্ছেদ করতে চেয়েছে। এমতাবস্থায় জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে এই দেশগুলোর অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক।

france presidentফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্র্যোঁন

দেখা গেছে, এই পোস্টে ফ্রান্সের অনেক সাধারণ মানুষ একাত্মতা পোষণ এবং সেটি রিটুইট করেছে। সকলেই জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে ফরাসি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন এই দেশগুলোর অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। তবে অভিবাসীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোসহ দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।