আপনি পড়ছেন

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে জাতীয় সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্বাধীনতা টাওয়ার, ঐতিহাসিক ছোট সোনা মসজিদ থেকে কান্তজীর মন্দির-বৌদ্ধবিহার। এমন ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে তৈরি হয়েছে ‘মিনি বাংলাদেশ’। ২০০৬ সালে বিনোদন কেন্দ্রটি ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স’ নামে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে নাম বদলে ‘স্বাধীনতা কমপ্লেক্স’ করা হয়েছে।

mini bangladesh in chittagongমিনি বাংলাদেশের চারটি স্থাপনা

‘মিনি বাংলাদেশ’ হিসেবে বেশি পরিচিত এ দর্শনীয় স্থানটি সপ্তাহের যে কোনোদিন ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। এ জন্য প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি জনের ১০০ টাকা ও ৪-১২ বছরের প্রতি বাচ্চার জন্য ৮০ টাকার টিকিট কাটতে হবে।

বিনোদন কেন্দ্রটির ঠিক মাঝখানে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের আদলে একটি স্থাপনা। এটিকে সংসদ বলা হলেও বসে না কোনো অধিবেশন। এ ভবনের পেছনটায় একটি ছোট লেক রয়েছে, যাতে পা দিয়ে চালিত একাধিক নৌকা আছে। এতে চড়তে হলে প্রত্যেকের জন্য ৫০ টাকার টিকিট নিতে হয়।

এখানে ক্ষুদ্রাকৃতির সুপ্রিম কোর্ট ভবন রয়েছে, যেখানে নেই কোনো কাঠগড়া, আইনজীবী, বিচারক কিংবা আসামি। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পঞ্চদশ শতাব্দীতে তৈরি ১৫ গম্বুজ বিশিষ্ট ছোট সোনা মসজিদের মতো একটি মসজিদ রয়েছে, যাতে নিয়মিত আজান ও নামাজ আদায় করা হয়।

mini bangladesh in chittagong 1স্বাধীনতা টাওয়ার ও প্যাডেল বোড

প্রধান আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধারণ করা স্বাধীনতা টাওয়ার। এর উচ্চতা ৭১ মিটার, প্রবেশ মূল্য ৭০ টাকা। এ টাওয়ারে একটি রিভল্ভিং রেস্টুরেন্ট (ঘূর্ণি রেস্তোরাঁ) রয়েছে।

এখানে রয়েছে দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরের আদলে একটি স্থাপনা। দেশের উত্তরবঙ্গের অবস্থিত মন্দিরটি পূর্বাঞ্চলের লোকদের দেখাতে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোটদের জন্য রয়েছে কিডস কর্নার ও বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা। এগুলোতে চড়তে হলে ২০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হবে।

এছাড়া মিনি বাংলাদেশে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লা ও আহসান মঞ্জিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার, সেইন্ট নিকোলাস চার্চ রয়েছে। ক্ষুদ্রাকৃতির এমন ১৪টি স্থাপনা রয়েছে, যার প্রত্যেকটি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বহন করছে।