গাছের ডালে ঘুরে বেড়ানো পাখিকে চাইলেই পোষ মানানো যায় না। তাইতো শখের বসে অনেকে খাঁচায় পাখি পালন করে থাকেন। কিন্তু কেউ কেউ পাখিকে পোষ মানানোর মতো জটিল কাজটিও করে দেখিয়েছেন। এমনকি এ প্রাণিটিকে কথা বলাও শিখিয়েছেন। তেমনই একজন কুষ্টিয়ার রোহান সিদ্দিক।

rohan with his birdপোষা পাখিদের সঙ্গে রোহান সিদ্দিক

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান পড়াশুনা করছেন কুষ্টিয়া শহরের কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বাসা ওই শহরের পিটিআই সড়কে। তার তিনটি পোশা শালিক পাখি রয়েছে। যেগুলো শুধু পোষই মানেনি, বরং সারাদিন তার ঘাড়ে মাথায় করে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়ায়। এ পাখি তিনটি মানুষের মতো কথাও বলতে পারে।

পাখিগুলোকে পোষ মানানোর বিষয়ে রোহান বলেন, পাখির প্রতি সব সময়ই তার অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করতো। করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলায় জারি করা লকডাউনের শুরুতে একদিন ইউটিউবে কীভাবে শালিক পাখি পোষ মানানো যায় সেই ভিডিও দেখেন। সেখান থেকে তার শালিক পাখি পালার ইচ্ছা চেপে বসে।

তিনি আরো বলেন, একদিন বাড়ির কাছের একটি গাছ থেকে শালিক পাখির দুটি বাচ্চা নিয়ে আসেন। তারপর সেগুলোকে খাঁচায় রেখে পালতে শুরু করেন। পাখি দুটোকে তিনি এতই ভালোবাসতেন যে প্রতিদিন নিজ হাতে খাবার খাওয়াতেন, গোসল করিয়ে দিতেন। কয়েক মাস পর আরো একটি শালিক পাখির বাচ্চা তিনি নিয়ে আসেন। ধীরে ধীরে তিনটি পাখিই বড় হয় এবং পোষ মানে।

পাখিপ্রেমী এ কিশোর আরো বলেন, এখন পাখিগুলো সব সময় তার ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়ায়। কোথাও যায় না। পাখিগুলো পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের নাম ধরেও ডাকতে পারে। এ ছাড়া মা ও আল্লাহ বলে ডাকতে পারে। পাখিগুলো এখন তার পরিবারের সদস্য হয়ে গেছে।

সরেজমিন রোহানের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তার শোবার ঘরে পাখির তিনটি খাঁচা রয়েছে। সেখানে বসে খুঁনসুটি করছে পাখিগুলো। রোহান ঘরে ঢুকার সঙ্গে সঙ্গেই পাখিগুলো উড়ে এসে তার ঘাড়ে মাথায় বসলো।

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.