অভিযোগের মুখে কসোভোর প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি হয়ে পদত্যাগ করেছেন কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাশিম থাকি। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাশিম থাকি

গণমাধ্যমকে হাশিম থাকি বলেন, কসোভোর অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ থেকেই তা কার্যকর হচ্ছে।

কসোভোর নেতা হাশিম থাকি ১৯৯৮-১৯৯৯ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কসোভো লিবারেশন আর্মির (কেএলএ) যোদ্ধাদের কমান্ড করেছিলেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পদত্যাগের ঘোষণাটি আসার আগে তার মিত্র এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান কাদ্রি ভেসেলিও বলেছিলেন, তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং বিচারের জন্য দ্য হেগে যাবেন।

এর আগে কসোভোর প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং কেএলএর সাবেক মুখপাত্র জাকুপ ক্র্যাসনিকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে হেগে স্থানান্তর করা হয়। কসোভো যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। তবে তার বিরুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

জুনে প্রকাশিত একটি খসড়া অনুসারে, থাকি এবং আরো নয় জন কসোভো আলবেনিয়ান, সার্ব, রোমা এবং অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মানুষ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদেরসহ প্রায় ১০০ জনকে হত্যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।

জুলাইয়ে প্রথমবার হেগের প্রসিকিউটর কর্তৃক ১৯৯০ সালের সংঘর্ষে তার ভূমিকার বিষয়ে থাকিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে ক্র্যাসনিকিও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মুখোমুখি হবেন। এ কথা জানায় কসোভো বিশেষজ্ঞ চেম্বার।

হেগ-ভিত্তিক আদালত কসোভো আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে সেখানে আন্তর্জাতিক বিচারপতি এবং প্রসিকিউটররা কর্মরত আছেন।

সার্বিয়া কসোভোর ২০০৮ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০১১ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ গঠনের দ্বার উন্মুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে সার্বিয়া ও কসোভো।