নতুন সরকারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে

মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। নির্বাচন কমিশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা না করলেও তাদের হাতে যে ক্ষমতা যাচ্ছে সেটা এক প্রকার নিশ্চিত বলা যায়।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমেদ

এ অবস্থায় দেশটির নতুন সরকারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে অসংখ্য রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছিল।

এ বিষয়ে দেশের একটি বার্তা সংস্থার সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের নতুন সরকারকে অবশ্যই রাখাইন অঞ্চলের মানুষের যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগের বিষয়ে কাজ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারেই লুকিয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের ন্যায়বিচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে চলমান এই সঙ্কট সমাধানের জন্য যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকেও রাজনৈতিক সমর্থন দেয়া হবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প

মিয়ানমারে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর ২০১৫ সালে প্রথম দফা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয় পেয়েছিল এনএলডি। দেশের অভ্যন্তরে বিপুল জনপ্রিয় দলটি এবারও জয় পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী নানা অভিযোগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দলটির ভাবমূর্তি অনেকটাই খারাপ।

নিজেদের জয় দাবি করে আজ সোমবার এনএলডির মুখপাত্র মিও নুন্ট বলেন, তারা ইতোমধ্যে ৩২২ আসনে জয় লাভ করেছে। দলের পাশে থাকার জন্য দেশের মানুষকে ধন্যবাদ। দেশের মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে এই জয় অনেক উৎসাহ দেবে।