টেলিগ্রাফ: নাগর্নো-কারাবাখে বিজয়ী তুরস্ক

নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। তবে এটিকে 'তুরস্কের বিজয়' বলে উল্লেখ করেছ ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।

বাকুর রাস্তায় বিজয় উল্লাস করছে আজারবাইজানের জনতা

গণমাধ্যমটির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, তুরস্কের তীব্র রাজনৈতিক সমর্থন, তুর্কি ড্রোন এবং অভিজ্ঞ তুর্কি সামরিক কর্মকর্তাদের পরামর্শের ফলেই আজারবাইজান এই চুক্তিতে সাফল্যের দিক দিয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে।

'আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধের বৃহত্তম বিজয়ী তুরস্ক' শিরোনামে নিবন্ধটি আজারবাইজানের সেনাবাহিনী কর্তৃক নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুশা দখল করার পর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এটি স্পষ্ট যে, তুরস্কের সমর্থনে আজারি বাহিনী বড় ধরনের সামরিক সাফল্য অর্জন করেছে।

তুরস্কের জাতীয় পতাকা

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল প্যাসিনিয়ান তাদের জন্য ‘অবমাননাকর শান্তি চুক্তি' এর সঙ্গে একমত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। এই চুক্তি মূলত আজারবাইজানের ‘আধিপত্য’কে সুরক্ষিত করেছে। আর আর্মেনিয়ার সৈন্যদের আশপাশের অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে।

নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, প্রতিবেশী সিরিয়া এবং লিবিয়ায় তুর্কি সেনাবাহিনী রয়েছে এবং এখন তারা দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলেও বড় প্রভাব রাখছে। আঙ্কারা মধ্য এশীয় সরকারগুলোকে তুর্কি ও ইসলামিক সংযোগের মাধ্যমে আজারবাইজানকে সমর্থন করার জন্য চাপ দিয়েছিল।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন

নতুন শান্তি চুক্তি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক যুদ্ধে আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখের যেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেগুলো তাদেরই থাকবে। সেইসঙ্গে আর্মেনিয়াকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংলগ্ন আরো কিছু এলাকা থেকে সরে যেতে হবে। আর অত্র অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে অন্তত ২ হাজার রুশ সেনা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।