পাক-ভারত সীমান্তে নিহত ১৫, ভারতীয় দূত তলব

সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার গোলাবর্ষণে সেনাসহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন বেসামরিক এবং ৫ জন সেনা ও নিরাপত্তা কর্মী। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় দূত তলব করেছে পাকিস্তান।

পাক-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা

পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলতি বছর এটিই সবচেয়ে ভয়ংকর সীমান্ত সংঘর্ষ।

দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক আলজাজিরা।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনাদের গোলাবর্ষণে তাদের অন্তত ৬ বেসামরিক লোক, তিন সেনা সদস্য এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ভারতীয় সেনাদের হামলায় তাদের অন্তত ৪ জন বেসামরিক লোক এবং এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির

পাকিস্তানের বেসামরিক প্রশাসনের এক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মিরের নীলাম উপত্যকা অঞ্চলে আরো দুই বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন।

সাফের বাট নামের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, নীলাম উপত্যকা জুড়েই মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ভারতীয় সেনারা গুলি চালিয়ে বেসামরিক লোক হত্যা করায় প্রতিবাদ জানাতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের এক কূটনীতিককে তলব করেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল এ কথা জানাতে যে, ‘এ ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সেইসঙ্গে সমস্ত প্রতিষ্ঠিত মানবিক নিয়মাবলী এবং পেশাদার সামরিক আচরণের পরিপন্থী।’

খবরে বলা হয়েছে, এর একদিন আগে পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফারাবাদের দক্ষিণ-পূর্বে রাখচিখরি সেক্টরে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে ৫৫ বছর বয়সী মুহাম্মদ বশির নামে এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, মুজফফারাবাদ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সামনি গ্রামে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে আরো তিন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন।