ইমরান খান: চাপ আসছে, কিন্তু ‘না’

ইতোমধ্যে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কথিত সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। পরে সুদানও সে তালিকায় যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ইমরান খান

আমিরাত ও বাহরাইন ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই ইসরায়েল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, আরো কয়েকটি, বিশেষ করে আরব দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে।

তখন থেকেই অন্যান্য দেশের পাশাপাশি সৌদি আরবের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটি ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে এ খবরও বাজারে রয়েছে যে, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে সৌদি বাদশা সালমান ও যুবরাজ বিন সালমানের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

ইমরান খান ও বিন সালমান

বলা হয়, আমিরাত ও বাহরাইনসহ অন্যান্য দেশকে এই তালিকায় ভেড়াতে কলকাঠি নাড়ছেন বিন সালমান। হয়তো অন্যদের ভিড়িয়ে পরে নিজেরাও ঘোষাণা দিতে পারেন।

সে যাইহোক, আমিরাত ও বাহরাইনের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই খবর ছড়ায় যে, পাকিস্তানও দখলদার ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ইসলামাবাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে মধ্যপ্রাচ্যের দাতা দেশগুলো। কিন্তু এ ধরনের খবর একাধিকবার উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

তবে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি তিনি স্বীকার করলেন যে, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলো থেকে চাপ আসছে। অবশ্য পাক প্রধানমন্ত্রী আবারো জানিয়েছেন যে, চাপ আসলেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিবেন না।

মিডল ইস্ট মনিটর শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইমরান খান বলেছেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে- যাতে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইসলামাবাদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাপের মুখে রয়েছি। কিন্তু ফিলিস্তিন সংকটের উপযুক্ত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা সেটা করব না।’

অবশ্য কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি পাক প্রধানমন্ত্রী। ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যেসব দেশ থেকে চাপ আসছে, সেসব দেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় সেসব দেশ সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।

ইমরান খান বলেন, ওইসব দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হোক, সেটা তারা চানা না।

অবশ্য প্রতিবেদনে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সৌদি আরবের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর বিশাল সেনাবাহিনী প্রতিপালনের জন্য পাকিস্তান যে সৌদি আরবের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল সেটা কে না জানে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে একজন সোচ্চার নেতা হিসেবেই পরিচিত ইমরান খান। যুগের পর যুগ ধরে ইসরায়েলের নিপীড়নের শিকার ফিলিস্তিনিদের অধিকারের ব্যাপারে এর আগেও ইসলামাবাদের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান কখনই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না বলেও সম্প্রতি উল্লেখ করেন তিনি।