সরকারি গুদামে খাদ্য মজুদ অর্ধেকে নেমে গেছে

গত অর্থবছরে দেশে ব্যাপক ফলনের পরও চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের মজুদকৃত খাদ্যের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। সর্বশেষ গত রোববার মজুদকৃত খাদ্যের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮ লাখ টন। অথচ গত অর্থবছরের শুরুতে এর পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৭৪ লাখ টন এবং গত জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৮ লাখ টনে।

খাদ্য মজুদ অর্ধেকে নেমেছে

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। খাদ্য মজুদ কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণের মধ্যে এটাও অন্যতম। এছাড়া চলমান করোনা মহামারি ও কয়েক দফা বন্যায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মাঝে খাদ্যশস্য বিতরণ করেছে সরকার। এ কারণেও মজুদ কমে গেছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট সূত্র জানায়, দেশে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরও গত এক বছরে সরকারি গুদামে খাদ্য মজুদ অর্ধেক কমে গেছে।

সরকারের খাদ্য সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ ছিল, খোলা বাজারে ধানের দাম বাড়তি থাকা সত্ত্বেও সরকার বোরো ধান ও চালের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে কম ধার্য করেছিল। খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোরো ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৮ লাখ টন ধরলেও কিনতে পেরেছিল মাত্র ২ দশমিক ২ লাখ টন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ কম।

একইভাবে সরকার ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছিল। কিন্তু কিনতে পেরেছে ৬ দশমিক ৮ লাখ টন। দেড় লাখ টন আতপ চাল কেনার লক্ষ্য নিয়েছিল। কিনতে পেরেছে মাত্র ৯৯ হাজার টন। এসব কারণেই মজুদকৃত খাদ্যের পরিমাণ কমে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।