চাঁদের বুকে চীনা যানের সফল অবতরণ

সফলভাবে চাঁদের বুকে চীনের সবচেয়ে বড় মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান চেঙ ই-৫ প্রোব অবতরণ করেছে। স্থানীয় সময় গত ২৪ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় চাঁদের উদ্দেশে সফলভাবে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

চন্দ্রপৃষ্ঠে চীনা মহাকাশ যান

চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, ৮ হাজার ২০০ কেজি ওজনের মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের ৮ দিন পর চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছায়। এরপর ল্যান্ডার ও অ্যাসেন্ডার অবতরণ করে চন্দ্রপৃষ্ঠে। যাবতীয় কাজ শেষ করে ২৩ দিন পর পৃথিবীতে ফিরবে এটি।

চন্দ্রাভিযানের ক্ষেত্রে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আধিপত্য রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই রাশিয়াও। পাশাপাশি চার দশক পর চন্দ্রপৃষ্ঠের মাটি ও পাথর আনতে এ অভিযান শুরু করেছে চীন।

চীনা মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠের যে অংশে কোনো দেশ এখনো যান পাঠায়নি, সেখানে এই যানটি অবতরণ করেছে। ল্যান্ডারের রোবোটিক হাতের মাধ্যমে ওই এলাকা থেকে দুই কেজি নমুনা সংগ্রহ করে অ্যাসেন্ডারে জমা করা হবে। পরে অ্যাসেন্ডার ফের চাঁদের কক্ষপথে ফিরে মহকাশযানের সঙ্গে যুক্ত হবে।

উৎক্ষেপণের আগে, পরের দৃশ্য

এ সময় রিটার্ন ক্যাপসুলে করে পাথর ও মাটি সংরক্ষণ করা হবে। পুরো এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে পৃথিবীতে ফেরার যাত্রা শুরু করবে মহাকাশযানটি। সংগৃহীত এসব উপাদান পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে চাঁদের উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে মনে করেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

বলা হচ্ছে, মিশনটি সফলভাবে শেষ হলে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) পর চাঁদের নমুনা সংগ্রহকারী তৃতীয় দেশ হবে চীন। এ কারণে প্রথম দুই দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে চন্দ্রাভিযানে নামে দেশটি।

অবশ্য, এর আগে গত বছর চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল চীন। গত জুলাই মাসে মঙ্গলেও মহাকাশযান পাঠায় দেশটি। ২০২২ সালে মহাকাশকেন্দ্র স্থাপন এবং ২০২৯ সালে বৃহস্পতি অভিযানের পরিকল্পনা করছে বেইজিং।