আপনি পড়ছেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে অবস্থিত মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্যের একটি কান ভেঙে ফেলেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানার পর রাত ৯টায় সেটি আবার পুনঃস্থাপন করা হয়।

modhu sculpture is brokenভাঙার পর মধুর ভাস্কর্য

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, মধুর ভাস্কর্যের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত দেখে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীকে জানানো হয়। বিষয়টি জানার পর পরই প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা গিয়ে ভাস্কর্যটিকে আগের অবয়বে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।

প্রক্টর জানান, মধুর ক্যান্টিনের সামনে থাকা ব্যক্তিরাই ভাস্কর্যের কানটি পুনঃস্থাপন করেন। তবে কে বা কারা এবং কখন এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা কেউ জানাতে পারেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, এটি বেখেয়ালে নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

modhu sculptureমেরামতের পর মধুর ভাস্কর্য

জানা যায়, মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন দে পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাবির জগন্নাথ হল থেকে তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করে পাক বাহিনী। মধুর স্মৃতির স্মরণে তার নামে রেস্তোরাঁটির নামকরণ করা হয় ‘মধুর ক্যান্টিন’।

১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল ক্যান্টিনের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যটি প্রথমে উদ্বোধন করেন ঢাবির তৎকালীন ভিসি এমাজউদ্দিন আহমদ। এটির পুনর্নির্মাণের পর বর্তমান অবস্থানে স্থাপন করা হলে ২০০১ সালে উদ্বোধন করেন সে সময়ের ভিসি এ কে আজাদ চৌধুরী। তৌফিক হোসেন খান ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন।