লিবিয়ায় এখনো ২০ হাজার বিদেশি যোদ্ধা

সংঘাতময় লিবিয়ায় এখনো কমপক্ষে ২০ হাজার বিদেশি ও ভাড়াটে যোদ্ধা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের দূত স্টেফানি উইলিয়ামস। গতকাল বুধবার লিবিয়ান পলিটিক্যাল ডায়ালগ ফোরামের ভার্চ্যুয়াল সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

লিবিয়ায় যোদ্ধাদের একটি বহর

বিদেশি অস্ত্রধারী লিবিয়ার জন্য ‘মারাত্মক সঙ্কট’ উল্লেখ করে স্টেফানি বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এদের কাছে অব্যাহতভাবে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। এতে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। তারা দেশটির সার্বভৌমত্ব ভয়াবহভাবে লঙ্ঘন করছে, যা হতাশাজনক।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট লিবিয়ান পলিটিক্যাল ডায়ালগ ফোরামে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন লিবিয়া বিষয়ক জাতিসংঘ দূত স্টেফানি। এই ফোরাম লিবিয়ায় যুদ্ধরত সবগুলো পক্ষকে একটি চুক্তিতে যুক্ত করা চেষ্টা করছে।

এতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশটিতে সবপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হবে। এই সরকার ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।

স্টেফানি উইলিয়ামস

স্টেফানি উইলিয়ামস বলেন, বিবাদমান সব পক্ষকে লিবিয়ার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে, একত্রিত হতে হবে। যাতে সামরিক শক্তি প্রত্যাহার করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও সফল হয়।

উল্লেখ্য, আরব বসন্তের সময় ২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থীরা সশস্ত্র লড়াই শুরু করলে তাদের সমর্থনে অভিযান চালায় ন্যাটো। এতে লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত হওয়ার পর ২০১৫ সালে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর লড়াই শুরু হয়, যা এখনো চলছে।

দেশটি বর্তমানে দুটি সরকার রয়েছে। এর একটি জাতিসংঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একর্ড (জিএনএ) চালাচ্ছে, অন্যটি সেনাবাহিনীর কমান্ডার খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন।