সীমান্তে সংঘর্ষে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু

বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি হলেন ভারতীয় নাগরিক আলিম উদ্দিন (৪৫)। সেইসঙ্গে উভয়পক্ষের চার জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জন বাংলাদেশের এবং দুই জন ভারতের।

সীমান্তে সংঘর্ষে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু

জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জামালপুর সীমান্তে ২৮৯/২৫ ও ২৬ এস পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় শুক্রবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত আলিম উদ্দিনের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সীমান্তের জামালপুর গ্রামে। তার বাবার নাম হরমুজ আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলদেশের (বিজিবি) ভাইগড় কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শওকত হোসেন।

দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে বিজিবির চেকপোস্ট

তিনি জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বিজিবির (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) মধ্যে এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে সীমান্ত এলাকায় পতাকা বৈঠক হয়েছে।

বৈঠক শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয় দেশের নাগরিকদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দেশের জড়িতদের তালিকা করে শাস্তির আওতায় আনার কথাও বলা হয়েছে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা মানিক ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারত সীমান্তের আলিম উদ্দিনের মধ্যে মাদক ব্যবসার পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর ভারতীয় সীমানার শূন্য রেখায় নির্মিত মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে গেলে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বিরামপুর উপজেলার ২ নম্বর কাটলা ইউপি সদস্য ও দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের মইনুল ইসলাম (৩৫) এবং তার বড় ভাই মমিনুল ইসলাম (৪৫)। অন্যদিকে, ভারতীয় অংশে আহতদের মধ্যে রয়েছেন জামালপুর গ্রামের আলম হোসেন ও আছিরুল ইসলাম।

পরে স্থানীয়রা আহত মইনুল ইসলাম ও মমিনুল ইসলামকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বিজিবি ২০ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর নাঈম এ বিষয়ে বলেন, সীমান্তে অনাকাঙ্খিত এই ঘটনায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনো উত্তেজনার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য গ্রামবাসীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।