রাশিয়া-চীনের মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র-ভারতকে ‘বার্তা’

সম্প্রতি চীনকে ‘বার্তা’ দিতে বঙ্গোপসাগরে যৌথ নৌ-মহড়া চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। এর পাল্টা বার্তা দিতে জাপান সাগর ও পূর্ব চীন সাগর এলাকায় বিমান মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া ও চীন।

রাশিয়া-চীনের বিমান মহড়া

পার্সটুডের খবরে বলা হয়, এশিয়া প্যাসিফিকে গতকাল মঙ্গলবারের এ মহড়ায় দেশ দুটি টিইউ-৯৫এমএস ও ৪টি চীনা এইচ-৬কে কৌশলগত বোমারু অংশ নেয়। এ নিয়ে এক বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে দ্বিতীয়বার মহড়া চালালো মস্কো-বেইজিং।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে দূরপাল্লার বিমান দিয়ে হমড়াটি চালানো হয়। এতে রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্স ও চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বিমান বাহিনী অংশ নিয়েছে।

বলা হয়, দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে এ মহড়া চালানো হয়েছে। তবে তৃতীয় কোনো পক্ষকে টার্গেট করে এটি করা হয়নি।

রাশিয়া-চীনের বিমান মহড়া

এদিকে, মহড়ার সময় মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় রুশ-চীনা বোমারু বিমান ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করেছে সিউল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধান এক বিবৃতিতে জানান, চীন ও রাশিয়ার যৌথ বিমান মহড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির ঠেকাতে বেইজিং ও মস্কোকে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিউল।

এর আগে সোমবার চীনা হুমকি সামনে রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য রেকর্ড পরিমাণ সামরিক বাজেট অনুমোদন করে জাপান। চলতি বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে বাজেট বেড়ে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

চার দেশের নৌ-মহড়া

জানানো হয়, নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে ব্যয় হবে বরাদ্দকৃত সামরিক বাজেটের একটা বড় অংশ। এ ছাড়া অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র আধুনিকায়ন ও প্রশিক্ষণে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে।

তারও আগে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের মোকাবেলায় ‘কোয়াড’ অক্ষ গড়ে তুলেছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। এ চার দেশ মালাবার উপকূলের পর দ্বিতীয় পর্বে আরব সাগরে নৌ-মহড়া চালায়।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে চীন বলেছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে এমন তৎপরতা উত্তেজনা আরো বাড়াবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনবিরোধী চার দেশের এ তৎপরতায় দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। কেননা, কয়েক দিন আগে টু প্লাস টু বৈঠকে চীনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে তোলার কথা জানায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।