ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক: বাংলাদেশ-পাকিস্তান নয়, তাহলে কোন দেশ?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই আরেকটি মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। সেই দেশটি হতে পারে এশিয়ার। তেল আবিব সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক মন্ত্রী।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি

ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে মধ্যস্থতা করছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েছে।

আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে পঞ্চম দেশ হিসেবে কোনো মুসলিম দেশ সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দিচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলের আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী অফির আকুনিস ইনেট টিভিকে বলেন, ‘আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

ইসরায়েলের সঙ্গে মরক্কোর সম্পর্ক স্বাভাকিকরণ চুক্তি সইয়ের লক্ষে রাবাত সফলে প্রতিনিধি দল

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আরেকটি দেশ যে প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে আমেরিকার পক্ষ থেকে ঘোষণা আসবে।’

কর্মকর্তারা বলছেন, তারা চেষ্টা করছেন যাতে অধিক সংখ্যক দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় অথবা উষ্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি মন্ত্রী আকুনিস বলছেন, তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে পরবর্তী ধাপে দুটি দেশ রয়েছে। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। অবশ্য বলেছেন, এর একটি গাল্ফ অঞ্চলের, হতে পারে সেটা ওমান। তবে সৌদি আরব নয়।

আরেকটি হচ্ছে অনেক উত্তরের দেশ। সেটি একটি মুসলিম দেশ এবং ছোট দেশ নয়। তবে সেটা পাকিস্তান নয়, বলেন আকুনিস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনবহুল মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া গত সপ্তাহে বলেছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না।

অন্যদিকে, মালয়েশিয়াও একই ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমরুদিন জাফর দেশটির সিনেটে গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার যে দৃঢ় অবস্থান, তার পরিবর্তন হবে না।’ তবে ইসরায়েলের ব্যাপারে অন্য দেশের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তারা কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নয় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে ‘আমাদের অবস্থান আগের মতোই রয়েছে’।

ইসরায়েলের সঙ্গে অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের যে মধ্যস্থতা আমেরিকা করছে, তার প্রশংসা করেছে ওমান। তবে তেল আবিবের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি দেশটি।