এমপি-ডিসি-এসপির পদত্যাগ চান কাদেরের ভাই

আওয়ামী লীগের দু’জন সংসদ সদস্য (এমপি), একজন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা এ দবি তুলেছেন।

ওবায়দুল কাদের মির্জা

তারা হলেন- সরকারদলীয় নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম হাজারী, নোয়াখালীর ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ও এসপি মো. আলমগীর হোসেন।

তাদের পদত্যাগ দাবিতে আজ রোববার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ, ঝাড়ু মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা ও তার সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালনের সভা আয়োজন করা হয়। এতে ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছাড়াও মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা অংশ নেন।

সভায় দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত এবং ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ করেন মেয়র প্রার্থী কাদের মির্জা। তাদের দালাল আখ্যা দিয়ে দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় একজনও নির্বাচিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের মির্জার সমর্থকদের অবস্থান

এ সময় নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের কিছু বলার আছে কি না, জানতে চান ডিসি খোরশেদ আলম খান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সভা থেকে বেরিয়ে যান কাদের মির্জা।

এরপর তার সমর্থকরা উপজেলার জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বেলা সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ, ঝাড়ু মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। এতে যোগ দেন আবদুল কাদের মির্জা।

সেখানে অবস্থান নিয়ে তিনি মাইকে ঘোষণা করেন, উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, পদচ্যুত ও বরখাস্ত করা ছাড়া সেখান থেকে সরবেন না।

এ ছাড়া এমপি একরামুলের স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শিউলী একরাম, ছেলে সাবাব চৌধুরী, ফেনী পৌর মেয়র প্রার্থী স্বপন মিয়াজী, কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, তার ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাতের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ দাবি করেন কাদের মির্জা।

স্যালাইন লাগানো অবস্থায় তিনি অবস্থান কর্মসূচি শুরু করায় চিকিৎসক ও সরকারি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়। এ সময় বসুরহাট বাজারের দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন তার সমর্থকরা।

এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি জাহেদুর রহমান রনির মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।