শেষমুহূর্তে ইরানে হামলা চালাতে পারেন ট্রাম্প!

ক্ষমতা ছাড়ার আগমুহূর্তে এসে ইরানে সামরিক হামলা চালাতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

ইরান বনাম যুক্তরাষ্ট্র -প্রতীকি ছবি

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ইরানি শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলায়মানি নিহতের প্রথম বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কার খবর এলো।

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ ড্যানি পোস্টেল বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ২০ দিনেরও কম সময় আছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিতে জোর চাপ দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে ঘনিষ্ট মিত্র ইসরায়েল ও সৌদি আরব।

সম্প্রতি পারস্য উপসাগরে মার্কিন বোমারু বিমান বি-৫২ উড়ে যাওয়ার মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয়। গত বুধবার একই ঘটনা ঘটে এবং একই সময় একই এলাকায় ইসরায়েলি সাবমেরিন প্রবেশের খবর প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে।

কাশেম সোলায়মানি

ইরান বলছে, কাশেম সোলায়মানি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সৌদি আরব জড়িত। এ হত্যার নজিরবিহীন ও ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নেয়া হবে। দেশটিকে বড় ধরনের কোনো প্রতিশোধ নেয়া থেকে বিরত রাখতে বোমারু বিমান ও সাবমেরিন পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে টালমাটাল অবস্থায় থাকা ট্রাম্প শেষমেষ ইরানে হামলা করেও বসতে পারেন। এর মাধ্যমে সবার দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরানো এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইরানমুখী নীতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে।

ডানি পোস্টেল মনে করেন, চরম মাত্রায় উত্তেজনা সৃষ্টির আচরণকারী ট্রাম্প এখন অনেক বেশি ক্ষতবিক্ষত। অবস্থা দৃষ্টে তার শেষ খেলার দৃশ্য নিয়ে সবারই কমবেশি উদ্বেগ রয়েছে। ক্ষমতা ছাড়ার আগে যেকোনো ঘটনা ঘটিয়ে বসতে পারেন তিনি।

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

এদিকে, ইরানে হামলার মতো ‘হটকারী’ কোনো পদক্ষেপ ট্রাম্প নিলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছে তেহরান। এ জন্য ইসরায়েলি কোনো ফাঁদে পা না দিতে ট্রাম্পকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

ইরাক থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে ভুয়া অজুহাত খুঁজছে তেল আবিব। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক প্ররোচনা চালাচ্ছে ইহুদি এজেন্টরা।

তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি ইরানি শীর্ষ কূটনীতিক জাভেদ জারিফ। কেবল বলেছেন, ইরানিদের বিরুদ্ধে প্রতিটি গুলির জবাব আরো ভয়াবহভাবে ফেরত পাবে হামলাকারীরা।

অবশ্য ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রী রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন অভিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।