ভারতীয় পেঁয়াজে ব্যবসায়ীদের ‘মাথায় হাত’

নিজেদের সুবিধামতো পেঁয়াজ রপ্তানি করছে, আবার তা বন্ধও করছে ভারত। এতে বাংলাদেশের বাজার চরমভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে, ফলে সংকটকালে অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিকারীদের সর্বনাশে মাথায় হাত।

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ আড়ত

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। এ নিষেধাজ্ঞা গত ২৮ ডিসেম্বর তুলে নেয়ায় সাড়ে ৩ মাস পর ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।

গত শনিবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করে। এর প্রভাব দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আসার খবরে দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এখন টালমাটাল। অন্য দেশের পেঁয়াজের দাম ৫ দিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমেছে সেখানে।

ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি

গত সপ্তাহের শুরুর দিকে তুরস্ক, চীন, ইউক্রেন, মিশর ও নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজ ৩৫-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার সেখানে ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এর মধ্যে তুর্কি পেঁয়াজ ২০ টাকা, নেদারল্যান্ড ও চীনা পেঁয়াজ ১৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়।

খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, তুরস্ক, মিশর, চীন ও নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজের দামে ধস নেমেছে। এসব দেশের বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করায় তারা এখন পথে বসার মতো অবস্থায় পড়েছেন।

হিলি বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ

ব্যবসায়ীদের দাবি, এবারও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত নিজেদের সুবিধামতো পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে। এতে অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি এখনই দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

গতকাল সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, নিষেধাজ্ঞার আগে ভারতে খোলা এলসির পেঁয়াজ এখন দেশে আসছে। দেশটি থেকে নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে দেশের ভোক্তা ও উৎপাদনকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।