আপনি পড়ছেন

পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে তাৎপর্যমণ্ডিত সুরা বলা হয় সুরাতুল ফাতেহাকে। এই সুরা পড়া ছাড়া নামাজ পরিপূর্ণ হয় না। কোরআনের যেকোনো সুরার অংশবিশেষ পাঠ করলেই নামাজ শুদ্ধ হবে, কিন্তু ফাতেহার পুরোটাই পড়তে হয়। একদল স্কলারের মতে, নামাজে ফাতেহা পড়া ফরজ। আরেকদল বলেছেন, ওয়াজিব। তবে সবাই এ বিষয়ে একমত- ফাতেহা পড়তেই হবে।

surah al fatiha

সুরা ফাতেহার অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, এটি পবিত্র কোরআনের সারনির্যাস, যা অতি চমৎকারভাবে সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। প্রায় সব মুফাসসিরগণই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, ফাতেহা হলো কোরআনের সারসংক্ষেপ। এছাড়া আরেকটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি তাফসিরে কাবিরে লেখেন, সুরা ফাতেহা দুবার নাজিল হয়েছে। একবার মক্কায়, দ্বিতীয়বার মদিনায়।

সুরা ফাতেহার শানে নুজুল সম্পর্কে আল উজাব ফি বায়ানিল আসবাব গ্রন্থকার বলেন, সুরাটি নাজিল হওয়ার পেছনে ওয়ারাকা ইবনে নাওফেল জড়িত রয়েছেন। নবুয়াতির প্রথম দিকে রাসুল (সা.) অদৃশ্য থেকে আওয়াজ শুনতেন, ইয়া মুহাম্মাদ। এমন আওয়াজ শুনে রাসুল (সা.) ভয় পেয়ে দ্রুত ওই স্থান ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতেন।

the holy quran

ওয়ারাকা ইবনে নওফেলকে যখন একথা বলো হলো, তখন জ্ঞানবৃদ্ধ এই আলেম বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি ওই আওয়াজ শুনে ভয় পাবেন না। স্থির দাঁড়িয়ে থাকবেন।

এরপর যখন নবীজি (সা.) অদৃশ্য আওয়াজ শুনলেন তখন তিনি ভয় না পেয়ে ওই জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে রইলেন। নবীজি (সা.) বললেন, আপনি কে? উত্তরে অদৃশ্য ঘোষক নবীজিকে সুরা ফাতেহা পাঠ করে শোনালেন। (মুসান্নিফ ইবনে আবি শায়বাহ, হাদিস নম্বর- ৩৬৫৫৫)।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর