বিদায়কালে তাইওয়ানে দূত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, হুঁশিয়ারি চীনের

আগামী সপ্তাহে তাইওয়ান সফর করার কথা রয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্রাফ্টের। তার সেই পরিকল্পনা বাদ দেয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে চীন। বৃহস্পতিবার বেইজিং বলেছে, ওয়াশিংটনকে তাইপে সফরের পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। অন্যথায় এর জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হতে পারে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্রাফ্ট

আজ শুক্রবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক ও স্বশাসিত তাইওয়ান স্বৈরাচারী চীনের ক্রমাগত হুমকির মধ্যে রয়েছে। বেইজিং এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দেখায় এবং প্রয়োজনে জোর করে একদিন এটি দখল করারও অঙ্গীকার করেছে। তারা তাইওয়ানের যে কোনো কূটনৈতিক স্বীকৃতির বিরোধিতা করে এবং বিশ্ব মঞ্চ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন রাখতে চায়।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর তাইপেতে একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি বাণিজ্য, সুরক্ষা এবং মানবাধিকারের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধিতায় লিপ্ত হন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তাইপে যাবেন কেলি ক্রাফ্ট। অথচ এর ঠিক এক সপ্তাহ পরই ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমতাবস্থায় এই সফর বাইডেন প্রশাসনের জন্য নতুন করে কূটনৈতিক সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।

ক্রাফ্টের সফরের বিষয়ে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের চীনা মিশন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে তার ভুল পদক্ষেপের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। তাদের উগ্র উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ, চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং জাতিসংঘে দুই দেশের সহযোগিতার জন্য নতুন সমস্যা সৃষ্টি করা বন্ধ এবং ভুল পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে বেইজিং।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের মার্কিন মিশন জানিয়েছে, কেলি ক্রাফ্ট তার সফরকালে তাইওয়ানের কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া বিশ্ব মঞ্চে তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন সরকারের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করা এবং সেটিকে আরো শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেবেন।