বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরি, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

করোনাভাইরাসের ছুটিতে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। মামলা করা হলে তদন্তে নামে পুলিশ। জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার পরপরই। তবে মূল হোতা যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফ এতদিন পলাতক ছিলেন। অবশেষে আজ সোমবার তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফ

গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন জানান, রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদারীপুরের টেকেরহাটের একটি বাস থেকে যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানায় তার নামে দুটি মামলা রয়েছে।

জানা যায়, কম্পিউটার চুরির এই ঘটনা ঘটে গত বছরের ২৬ জুলাই। করোনাভাইরাস তো বটেই, সঙ্গে ঈদের ছুটিও ছিল তখন। প্রায় সম্পূর্ণ ফাঁকা ক্যাম্পাসের সুযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির জানালা ভেঙে এসব কম্পিউটার চুরি করে পলাশ শরীফ ও তার দুই সহযোগী।

অনুসন্ধানে নেমে সপ্তাহখানেক পরেই মহাখালীর ‘জিসার ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ। বশেমুরবিপ্রবি’র চুরি হওয়া ৪৯ কম্পিউটারের ৩৪টি পাওয়া যায় সেখানে। সেই সঙ্গে আটক করা হয় পলাশ শরীফের দুই সহযোগীকে। তারা হলেন- কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ইদারচর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল (২৫) এবং ময়মনসিংহ জেলার চোরখালী গ্রামের মইজউদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩৫)।

গ্রেপ্তার হওয়া দুজন চুরির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তবে তারা বলেছেন, পুরো ঘটনাটি ঘটেছে ‘জিসার ইন্টারন্যাশনাল’ হোটেলের মালিক ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরীফের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও নেতৃত্বে।

জানা যায়, এই ঘটনার আগেও দুই দফায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে ৯৪টি কম্পিউটার চুরি হয়েছিল। তখন অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ ওই চুরির কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি। অবশেষে তৃতীয় ধাপে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির পর ঘটনায় জড়িত মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলো পুলিশ।