আপনি পড়ছেন

রাতের আঁধারে বাসভবন ছেড়েছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেম। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের একাংশের বিক্ষোভের মুখে তিনি বাসভবন ছাড়েন। তবে যাওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে একটি নোট রেখে গেছেন তিনি। যদিও তার মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি।

professor abul kashem habiprobiহাবিপ্রবি প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেম

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈরী আচরণ, ক্লাস-পরীক্ষা চালুসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে ভিসির বাসভবনের ভেতরে দিনভর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন।

এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের দরজায় বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা। সেইসঙ্গে দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত অবস্থান করার ঘোষণা দেন তারা।

ছাত্রলীগের ওই অংশের নেতারা জানান, উপাচার্যের সঙ্গে বিভিন্ন দাবিতে কথা বলতে আসলেও বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিনি দেখা করেননি, এমনকি কারো মাধ্যমে কোনো কথাও বলেননি।

habiprobi dinajpurদিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রসঙ্গত, হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেমের মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র ১৮ দিন। মেয়াদ পূর্তির এই শেষ সময়ে এসে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

ভিসির বাসভবন ত্যাগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের যে পরিস্থিতি তৈরি হয় তা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনাও হয়। আলোচনায় সন্তোষজনক সমাধানও বেরিয়ে আসে।

কিন্তু আজ বুধবার সকালে তিনি জানতে পারেন যে, উপাচার্য রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার পরিবার নিয়ে বাসভবন ছেড়ে চলে গেছেন। যাওয়ার আগে তিনি একটি নোট রেখে গেছেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক আরো বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ফোন করে উপাচার্য জানিয়েছেন যে, তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ঢাকায় চলে গেছেন। কিন্তু তিনি আসলে কোথায় গেছেন, সে ব্যাপারে আমরা কেউ নিশ্চিত নই।

এ বিষয়ে জানতে হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।