আপনি পড়ছেন

নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকার কথা। এটি যেন মানতে নারাজ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অভিযোগ উঠেছে, ১ হাজার ৩০০ কর্মদিবসের মধ্যে মাত্র ২০০ দিন অফিস করেছেন তিনি।

nazmul ahsan kalimullahনাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ

বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তারা জানান, মাসের পর মাস ক্যাম্পাসে যান না ভিসি কলিমউল্লাহ, ঢাকাতেই থাকেন তিনি। এ নিয়ে তাদের অভিযোগ-অনুযোগের শেষ নেই। শিক্ষকদের একাংশ বিক্ষোভ করলেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গত শুক্রবার ক্যাম্পাসে থাকা নিজের বাসভবনে যান নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে বাসবভনে যান শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখা না করে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান উপাচার্য। পরে অপেক্ষমাণ শিক্ষক-কর্মকর্তারা সেখানে বিক্ষোভ প্রকাশ করলে সংবাদ হয়।

শিক্ষকদের একাংশের গঠন করা বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক হচ্ছেন অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় উপাচার্যের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।

begum rokeya universityবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

উপাচার্য প্রায়ই পেছনের দরজা দিয়ে বাসভবনে আসেন-যান উল্লেখ করে অধ্যাপক মতিউর বলেন, ভিসির দীর্ঘ অনুপস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে।

বেরোবির বাংলা বিভাগের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ১ হাজার ৩০০ কার্যদিবসের মধ্যে ভিসি কলিমুল্লাহ অফিস করেছেন মাত্র ২০০ কার্যদিবস।

শিক্ষকরা বলছেন, অনির্দিষ্টকাল ধরে এভাবে চলতে পারে না। এ সমস্যার একটা কার্যকর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। একজন উপাচার্য তার শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান না, এটা মেনে নেয়া যায় না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।