ভারতের টিকা কূটনীতি, পাকিস্তানের পাশে চীন

প্রাণঘাতী করোনার টিকা নিয়ে ‘কূটনীতি’ অব্যাহত রেখেছে ভারত। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ শুরু করছে দেশটি। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম পাকিস্তান। বরং বরাবরের মতো টিকা নিয়েও ইসলাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বেইজিং।

ভারত ও চীনের পতাকা

দেশটির গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নামে উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।

টিকাটি বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপকে দিচ্ছে মোদি সরকার। দেশগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে টিকা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে দিল্লি। এ ছাড়া আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে টিকা দিয়ে সহায়তা করার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ছাড়াও সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও মরক্কোর সঙ্গে টিকা নিয়ে চুক্তি করেছে ভারত। এসব দেশে টিকা সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে দিল্লি।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা

বলা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত মজুদ রেখে অংশীদার দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করবে ভারত। আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের বিভিন্ন পর্যায়ে এ টিকার চালান পৌঁছে দেয়া হবে দেশগুলোতে।

এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী ‘চির শত্রু’ পাকিস্তানের বিষয়ে উল্টো নীতি দেখা গেছে ভারতের। দেশটির একজন মুখপাত্র গতকাল শুক্রবার বলেন, ইসলামাবাদ তাদের টিকা পেতে সরকারি বা বাণিজ্যিক পর্যায়ে অনুরোধ না করায় এমনটা হয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তানের পতাকা

তবে পাকিস্তানকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের উদ্ভাবিত ৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছে চীন। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বেইজিং এই মহামারিতেও ইসলাবাদের পাশে দাঁড়ালো।

দেশটি এরই মধ্যে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। চীনের ক্যানসিনোবায়োর টিকা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া চীনের সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজের পাশাপাশি কোভ্যাক্স ফেসিলিটির টিকা কেনার কথা বলা হচ্ছে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে।