বাইডেনকে ‘বার্তা’ দিলো ইরান

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে দেশটির সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছায়। এ জন্য তার বিদায়ে তেহরান খুশি হলেও বাইডেনকে নিয়েও তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না দেশটি।

ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

আগে থেকেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলে আসছেন, প্রেসিডেন্ট বদলালেও ইরান নীতিতে খুব একটা পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন না তারা। মার্কিনিদের বিশ্বাস করা যায় না।

বাইডেনের শপথ গ্রহণের তিন দিন পর ইরানি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচির কথায়ও একই সুর শোনা গেছে। ইতালির দৈনিক লা রিপাবলিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাইডেন সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কোনো ইচ্ছা নেই তেহরানের।

আব্বাস আরাকচি

পরমাণু সমঝোতার প্রতি ইঙ্গিত করে আব্বাস আরাকচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতি-গোষ্ঠীর সঙ্গে সদিচ্ছা নিয়ে আলোচনা করে সমঝোতায় পৌঁছেছে ইরান। সেই চুক্তি বাস্তবায়নও করা হয়েছে। সেটি থেকে ওয়াশিংটন বেরিয়ে গিয়ে যে ভুল করেছে, তা শুধরে নেয়ার দায়িত্ব তাদের।

বাইডেন প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে হলে ইরানের ওপর আরোপ করা সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। এ নিয়ে ফের কোনো আলোচনায় বসবে না ইরান, নতুন কোনো সমঝোতাও হবে না।

ডোনাল্ড ট্রাম্প -ফাইল ছবি

২০১৫ সালে ছয় জাতি-গোষ্ঠীর সঙ্গে সই হওয়া চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। তার পর থেকেই তেহরানের ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।