বাইডেনের ‘পরিকল্পনা’ স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং দেশটির জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে যে পরিকল্পনা করছেন, সেটিকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা।

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিগত কয়েক দশক ধরে লড়াই করছেন দেশটির স্বাধীনতাকামী জনতা

এর আগে সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক বক্তব্যে সংস্থাটিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি রিচার্ড মিলস জানিয়েছেন, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি হবে। এক্ষেত্রে টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশে ইসরায়েল শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরাপদে থাকবে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে সাহায্য দেয়া বন্ধ ও তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সেটি আবার চালু করতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টাও অব্যাহত থাকবে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছিলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

এ বিষয়ে ফিলিস্তিন সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহিম মিলহেম বলেন, পিএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়াহ নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য ওয়াশিংটনের সমর্থন এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আলোচনার প্রত্যাবর্তনের গুরুত্বকে জোর দিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

পারস্পরিক সম্মতিতে জাতিসংঘের প্রস্তাবসমূহ, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব পুনরায় আলোচনার জন্য আগ্রহী, যোগ করেন তিনি।

পিএ সরকারের এই মুখপাত্র বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং বিশ্বশক্তিগুলোর সহায়তায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত। তবে এর বাইরে ফিলিস্তিনিদের অধিকার বিবেচনায় না নিলে যে কোনো সমাধানই ব্যর্থ হবে।

ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার সিনিয়র সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, ফিলিস্তিনিরা বুঝতে পেরেছে, জো বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের নীতিমালা থেকে স্পষ্ট বিরতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলের পক্ষে তাদের অব্যাহত ও দ্ব্যর্থহীন সমর্থন সম্পর্কেও সচেতন আছেন।

ফিলিস্তিনিরা আসলে যা চায় তা হলো ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্তি এবং তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুস্পষ্ট পথ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে আট বছর ধরে যেভাবে লড়াই করা হয়েছিল, সেটাও দ্বন্দ্ব সমাধানের নীতি নয়, যোগ করেন তিনি।