৩৩৮ কোটি টাকার মামলা জিতেছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের জায়ান্ট ক্রেতা ‘সিয়ার্স’ এর বিরুদ্ধে একটি মামলায় জয় পেয়েছে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক সরবরাহকারীদের গ্রুপ। মোট ২১টি প্রতিষ্ঠান এই গ্রুপের সদস্য। প্রায় ৪ কোটি ডলারের (৩৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা) বেশি অর্থের এই মামলায় জয় পায় তারা।

বাংলাদেশি একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা

শনিবার মার্কিন অর্থনীতিবিষয়ক ম্যাগাজিন ফোর্বস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট ও পশ্চিমা জায়ান্ট ক্রেতাদের অনৈতিক ব্যবসায়িক মন্দার কারণে তৈরি পোশাকের অসংখ্য সরবরাহকারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে। এর মধ্যে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে। তাই তারা সিয়ার্সের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং শুনানি শেষে ৪ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ জয় পেয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে মামলা দায়েরকারী আইনজীবী জোসেফ ই. সারাচেক বলেন, গত গ্রীষ্মে পোশাক সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করেছিল সিয়ার্স। এমতাবস্থায় তারা বেশ হতাশাগ্রস্ত এবং জটিল অবস্থার সম্মুখীন হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়।

বাংলাদেশি একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা

মামলায় বিজয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি কোম্পানি ট্রান্সফর্মকোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে তাদের অর্থ ফেরত পাবে। অর্থের বড় অংশ ফেরত পেতে যাচ্ছেন বলে ইতোমধ্যে সরবরাহকারীদেরও নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, এক পর্যায়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটিও দেউলিয়া হয়ে পড়ে এবং তাদের কাছে অনেক কোম্পানির অর্থ পাওনা থেকে যায়। কিন্তু এমন অবস্থায় পাওনা পরিশোধের বদলে তারা সরবরাহকারীদের রেখেই নিজেদের সরিয়ে নেয়। তাই উপায় না পেয়ে মামলা করে বাংলাদেশি সরবরাহকারীরা। কারণ, অর্ডার বাতিল হওয়ার নির্দেশের আগেই প্রায় ৬০ লাখ ডলারের পোশাক তৈরি করে শিপমেন্ট পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল।

এতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার আরো কয়েকটি স্থানে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। সিয়ার্সের পাশাপাশি অর্ডার বাতিলের এমন কাজ করেছে ফরএভার ২১, রোজ ড্রেস ফর লেস, দ্য চিলড্রেনস প্যালেস, কোহলস কেএসএস, গ্লোবাল ব্রান্ডস গ্রুপ এবং আর্কেডিয়ার মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বিভিন্ন কারখানার অন্তত ৪ হাজার ডলার পরিশোধ করেনি।