মসজিদে ভ্যাকসিন প্রয়োগে ব্যাপক সাড়া

যুক্তরাজ্যে মসজিদে স্থাপন করা কেন্দ্র থেকেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সেখানকার মুসলমানরা। তারা বলছেন, মসজিদের মতো একটি নির্ভরযোগ্য জায়গায় ভ্যাকসিন নেয়ার অভিজ্ঞতা খুবই মনোরম।

মসজিদে স্থাপন করা কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন মুসলমানরা

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইংলিশ মিডল্যান্ডসের বাসিন্দা শেহনাজ সাজান নামের ৬০ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ মুসলিম নারী বালসাল হিথের আল-আব্বাস ইসলামিক কেন্দ্রের মসজিদে স্থাপন করা বুথ থেকে ভ্যাকসিন নেন।

তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রথমে তার কোনো ধারণাই ছিল না এবং এটা গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিয়েও দ্বিধায় ছিলেন। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে মসজিদ থেকে প্রচুর তথ্য, দিকনির্দেশনা এবং আশ্বাস দেয়া হয়। বলা হয় যে, এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ হালাল ও ব্যবহারযোগ্য।

এর পরই এটি নিতে সাহস পাই। মসজিদের মতো একটি নির্ভরযোগ্য জায়গায় ভ্যাকসিন নেয়ার অভিজ্ঞতা খুবই মনোরম, যোগ করেন এই মুসলিম নারী।

৬৯ বছর বয়সী হুসনা খিমজি একই মসজিদে তার স্বামীর সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তিনি বলেন, তার ৮৪ বছর বয়স্ক এক আন্টি প্রথমে ভ্যাকসিন নিতে কিছুটা অনিচ্ছুক ছিল। কিন্তু পরে যখন তাদের বলা হয় যে মসজিদে গিয়ে এটি দেয়া যায়, তখন তিনি রাজি হন।

মসজিদে স্থাপন করা কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন মুসলমানরা

আমি মসজিদে ভ্যাকসিন গ্রহণ সম্পর্কে অত্যন্ত ইতিবাচক ছিলাম। মসজিদ কমিটির ওপর আমরা বিশ্বাস স্থাপন করতে পারি। কারণ, সেখানে পেশাদার চিকিৎসকও আছেন। তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে, কেনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত তা জানিয়েছে, যোগ করেন হুসনা খিমজি।

এ বিষয়ে বার্মিংহামে অবস্থিত আল-আব্বাস ইসলামিক কেন্দ্র মসজিদের ইমাম নুরু মোহাম্মদ বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ধরনের ভয় ও ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছিল। তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই জায়গাটিকে ক্লিনিকে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত।

তিনি আল জাজিরাকে বলেন, এটি কেবল অবশ্যই বার্মিংহামে নয়, পুরো দেশজুড়েই মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে একটি শক্তিশালী ইতিবাচক বার্তা প্রেরণ করবে।

গত ২১ জানুয়ারি থেকে সেন্টারটিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক ডজন লোক এটি নিয়েছেন। আগামী সপ্তাহ নাগাদ অন্তত ৫০০ লোককে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রত্যাশা করছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।