মার্কিন প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান সৌদির

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের অনুমোদন ছিল বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন রিয়াদ। প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও অনুমাননির্ভর বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই সময়ই মার্কিন গোয়েন্দারা হত্যার পেছনে সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার খবর দিয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।

তবে সৌদি যুবরাজের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের আগে সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন বাইডেন।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, প্রতিবেদনে সৌদি রাজত্বের নেতৃত্ব সম্পর্কিত নেতিবাচক, মিথ্যা ও অগ্রহণযোগ্য মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে রিয়াদ।

জামাল খাশোগি

প্রতিবেদনে ভুল তথ্য সংযোজন এবং অনুমাননির্ভর উল্লেখ করে বিবৃতিতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে করা অযৌক্তিক এই প্রতিবেদন সত্যিই দুঃখজনক।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দারা এমন সময় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যখন জঘন্য ওই অপরাধের স্পষ্ট নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব এবং সেইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য সৌদি নেতৃত্ব ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে তার ক্ষমতার জন্য হুমকি হিসেবেই দেখতেন। এ জন্য খাশোগির কণ্ঠরোধ করতে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও সম্মতি ছিল তার।

উল্লেখ্য, বর্তমান সৌদি বাদশাহ সালমানের বয়স ৮৫ বছর। সেজন্য তিনি বাদশাহর পদে থাকলেও কার্যত পেছন থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবরাজ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার কথিত সংস্কার কর্মসূচি এবং বিরোধী মতের লোকদের দমন-পীড়নের কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন তিনি। যার অন্যতম সমালোচক ছিলেন জামাল খাশোগি।