টিআইবি: ভিন্নমত দমনের ‘মোক্ষম হাতিয়ার’ ডিজিটাল আইন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকার তথাকথিত প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হাতে ভিন্নমত দমনের মোক্ষম হাতিয়ার তুলে দিয়েছে। আজ শনিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়।

টিআইবির লোগো

এ আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ বিবৃতি দেয় সংগঠনটি। সেইসঙ্গে আইনটি বাতিলের জোর দাবি জানিয়ে মুক্তচিন্তার প্রতিবাদী লেখকের মৃত্যুর দায় কার, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে।

এই মৃত্যু প্রমাণ করে, সমালোচনা সইবার মতো সরকার বা রাষ্ট্রযন্ত্রের সৎসাহস নেই- এমনটা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, গণতন্ত্র ও সংবিধানে ন্যূনতম দায়বদ্ধ হলে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও ব্যক্তিদের দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আইনটির বিতর্কিত ‘রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অপপ্রচারের’ ধারাগুলোর ‘অপব্যবহার ও অপব্যাখ্যার ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত’ স্থাপিত হয়েছে।

লেখক মুশতাক আহমেদ -ফাইল ছবি

একই মামলায় অন্যরা জামিন পেয়েছে, ৬ বার আবেদন করেও জামিন পাননি লেখক মুশতাক। এটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, তাকে দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মৃত্যুকে স্বাভাবিক বিবেচনা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, গত বছর এই আইনে করা ১৯৭টি মামলায় ৪৫৭ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি মামলায় পেশাদার ৭৫ জন গণমাধ্যমকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার বাদীদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী।