আপনি পড়ছেন

মহান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ সৃষ্টি হলো ফেরেশতা। তাদের কাজ হলো সর্বক্ষণ আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা। এছাড়া একদল ফেরেশতা আছেন যারা আদম সন্তানের মঙ্গলের জন্য সবসময় দোয়া করেন। আরেকদল আছেন, যারা সবসময় অভিশাপ দেন।

eidul azha

যেসব মানুষকে ফেরেশতারা অভিশাপ দেয় তাদের সম্পর্কে জেনে নিই-

১. আল্লাহকে অস্বীকারকারী

যে মানুষটিকে তিল তিল করে আল্লাহ তায়ালা পূর্ণ জীবন দিয়েছেন, জীবন ভোগ করিয়েছেন, সে যদি আল্লাহকে অস্বীকার করে তাহলে তার মতো হতভাগ্য তো অভিশাপেরই যোগ্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা কুফুরি করেছে এবং সে অবস্থাতেই মারা গেছে, তাদের ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং মানবকুলের পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষণ হতে থাকে। (সূরা বাকারাহ: ১৬১)।

২. ভাতৃঘাতী মুসলমান

এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। ইসলামের যতগুলো ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য আছে, তার মধ্যে ভ্রাতৃত্ব অন্যতম। রাসুল (সা.) বলেছেন, মুসলমানকে হত্যা করা কুফরি। শুধু তাই নয়, কোনো মুসলমান যদি তার ভাইকে ভয় দেখানোর জন্যও অস্ত্র দেখায়, তাহলে ফেরেশতারা তাকে অভিশাপ দিতে থাকে, যতক্ষণ না সে অস্ত্র নামিয়ে নেয়। (মুসলিম: ৬৫৬০)।

৩. নিরাপত্তার চাদর ছিন্ন করলে

রাসুল (সা.) বলেছেন, ইসলামে সাধারণ মুসলমান এবং বিশেষ মুসলমান বলে কিছু নেই। কোনো সাধারণ মুসলমান যদি রাষ্ট্রীয় আইন এবং শরিয়তের বিধান মেনে কাউকে নিরাপত্তা দেয়, আর অন্য একজন যদি সেই নিরাপত্তার বলয় ভেঙে ফেলে, তাহলে তার ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সব মানুষের পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষণ হতে থাকে। এই অপরাধ এত বড় যে, তার নফল অথবা ফরজ- কোনো ইবাদতই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।’ (বুখারি: ১৮৭০)।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর