আলোচনায় বসতে ‘রাজি’ ইরান

টানা কয়েক মাস একে অপরকে শর্ত দেয়ার পর অবশেষে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইরান। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে তেহরান ও জাতিসংঘের অ্যাটোমিক ওয়াচডগের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। আজ শুক্রবার ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনা

জাতিসংঘের সংস্থাটির বরাত দিয়ে সেখানে বলা হয়, বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তেহরান-ওয়াশিংটন সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছে। তবে সম্প্রতি কিছুটা আশার আলো দেখা দিয়েছে। চুক্তির বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রসি সাংবাদিকদের জানান, পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে ইরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, ইরানের একাধিক অঞ্চলে ইউরেনিয়ামের মজুত আছে। সম্প্রতি তা আরো বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তেহরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা আইএইএর কোনো কর্মকর্তাকে পরমাণু কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের আর অনুমতি দিবে না।

জাতিসংঘের লোগো

এমতাবস্থায় ইরানের আলোচনায় বসতে রাজি হওয়ার পেছনে জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘে ইরানের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব জমা দেয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু আপাতত তারা সেটি জমা দিবে না, স্থগিত করেছে। ফলে তেহরানও তাদের সুর নরম করলো।

এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জাতিসংঘের অ্যাটোমিক ওয়াচডগের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে তারা আশাবাদী।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে আসেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ইরানের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে গত জানুয়ারিতে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওয়াশিংটনের আবারও চুক্তিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা জোড়ালো হয়েছে। এক্ষেত্রে তেহরানকে চুক্তির সকল নীতি পুরোপুরিভাবে মানতে হবে বলে শর্ত দেয় তারা। জবাবে ইরান জানিয়ে দেয়, যুক্তরাষ্ট্রকে আগে সকল নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে হবে। তাহলেই কেবল আলোচনায় বসবে তারা।