কেবলামুখী হয়ে দু’হাত তুলে দোয়া করা সুন্নাত
- Details
- by ইসলাম
দোয়া হলো বান্দা এবং প্রভুর মাঝে একান্ত আলাপচারিতা। একান্ত কথা গোপনেই বলতে হয়। পবিত্র কোরআনেও গোপনে দোয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুরা আরাফে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের প্রভুকে চুপিচুপি ভয়সহ ডাকো।’ আর সুরা মরিয়মে আল্লাহ বলেন, ‘জাকারিয়ার তার রবকে একান্ত গোপনে ডেকেছিলো। আল্লাহ তার দোয়া কবুল করলেন।’
রাসুল (সা.) এর জীবনে প্রকাশ্যে দোয়ারও অনেক উদাহরণ রয়েছে। দোয়ার অনেক আদব রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন। তবে এসব শুধুই আদব, আবশ্যক নয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, অনেকেই ‘আদব’ নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি করেন, হারামের সীমাকেও ছাড়িয়ে যায়।
দোয়া করার একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব হলো কেবলামুখী হয়ে হাত তুলে দোয়া করা। হযরত উমর (রা.) বলেন, বদরের কঠিন দিনে রাসুল (সা.) কাফের সৈন্যবাহিনীর দিকে তাকালেন। তারপর তিনি কেবলামুখী হয়ে দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। তিনি হাত এত লম্বা করেছেন যে, কাঁধ থেকে তার চাদর পর্যন্ত পড়ে গেলো। মুসলিম, হাদিস নম্বর ১৭৬৩।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.) কে দেখেছি জুলবাজদাইনের দাফন সম্পন্ন করে দুহাত তুলে কেবলামুখী হয়ে দোয়া করলেন। ফাতহুল বারি, ১১ খন্ড, ১৪৮ পৃষ্ঠা।
আবার কেবলার দিকে না ফিরে দোয়া করাও সুন্নাত। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.) এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! বৃষ্টির জন্য দোয়া করুন। তখন রাসুল (সা.) কেবলার দিকে পিঠ রেখে খুতবা দিচ্ছিলেন। ওই অবস্থাতেই রাসুল (সা.) বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।
পরের সপ্তাহে আবার ওই ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! বৃষ্টি বন্ধের জন্য দোয়া করুন। আমরা তো সবাই ডুবে গেলাম। রাসুল (সা.) কেবলাকে পেছনে রেখেই বৃষ্টি বন্ধের দোয়া করলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলো। বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৩৪২।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর