আপনি পড়ছেন

জীবনের চরমতম সত্য হলো ‘মৃত্যু’। প্রতিটি প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মহান আল্লাহর এ বিধানের কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। অনেককেই দেখা যায়, মুমূর্ষু স্বজনদের পাশে বসে আফসোস, কান্নাকাটি করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ইসলামের সুন্দর শিক্ষা রয়েছে। নবীজি (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে মুমূর্ষুদের মৃত্যু যাত্রাকে সুন্দর, সহজ করতে হয়।

eidul azha

মৃত্যু আসন্ন ব্যক্তি জীবনের সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। শয়তান নানাভাবে তাকে ধোঁকা দিতে থাকে। শয়তানের উদ্দেশ্য থাকে মুমূর্ষু ব্যক্তিকে ইমানহারা করে কবরে নেওয়া।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা মুমূর্ষু ব্যক্তিকে ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কালেমার তালকিন দাও। মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বন ৯১৬।

মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) লেখেন, অনেকেই মৃত্যু আসন্ন ব্যক্তিকে কালেমরা পড়ার নির্দেশ দেয় বা অনুরোধ করে। এটা মারাত্মক ভুল। হাদিসে তালকিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তালকিন মানে হলো পড়তে উৎসাহ দেওয়া, উদ্বুদ্ধ করা। আর এটা এভাবে যে, মৃত্যু আসন্ন ব্যক্তির সামনে যারা বসে থাকবে তারা জোরে জোরে কালেমা পড়তে থাকবে। এটা দেখে মুমূর্ষু ব্যক্তিরও কালেমা পড়ার সৌভাগ্য অর্জন হবে।

মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কালেমার তালকিন দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির শেষ কথা হবে ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ৩১১৮।

কেউ কেউ এ হাদিস থেকে ভুল অর্থ নিতে পারেন যে, জীবনে পাপের সাম্রাজ্য গড়ে মৃত্যুর আগে কালেমা পড়ে জান্নাত নিশ্চিত করব। কোনো ব্যক্তি যদি নিশ্চিত হতে পারেন, শয়তানের ধোঁকা কাটিয়ে উঠে মৃত্যুর আগে নাজুক সময়ে তিনি কালেমা উচ্চারণ করতে পারবেন, সে হয়ত অবাধে পাপের জীবন কাটিয়ে দিতে পারেন।

কিন্তু যে শক্তি সামর্থ্য থাকা অবস্থায় শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারল না, পাপ থেকে ফিরল না, সে কীভাবে মুমূর্ষু অবস্থায় কালেমা পড়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে, এ বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর