আপনি পড়ছেন

বস্তুবাদী দৃষ্টিতে দোয়ার কোনো ব্যাখ্যা না থাকলেও হাদিসে রাসুল (সা.) দোয়াকে মুমিনের শক্তি বলে উল্লেখ করেছেন। মানুষের চিন্তা যেখানে থমকে যায়, যুক্তি যেখানে হেরে যায়, সেখানেই দোয়ার জয় হয়। দোয়া হলো মহান আল্লহর পক্ষ থেকে বিশেষ সাহায্য পাওয়ার মাধ্যম।

adhan

পবিত্র কোরআনে বিশ্বাসী বান্দা ও নবী-রাসুলদের দোয়া কবুলের অনেক আশ্চর্য ঘটনা বলা হয়েছে। হজরত ইবরাহিম (আ.) একবার মৃতকে জীবিত করার প্রক্রিয়া দেখতে চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, আল্লাহ সে দোয়া কবুল করেছেন। সূরা বাকারায় চমৎকারভাবে আল্লাহ সে ঘটনা উম্মতের মুহাম্মাদীর সামনে তুলে ধরেছেন।

প্রিয় নবী (সা.) উম্মতকে দোয়ার প্রতি খুব বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কখনো কখনো তিনি এতটাই দোয়া নির্ভর হওয়ার উপদেশ দিতেন যে, তিনি বলতেন, রান্নার লবন, জুতার ফিতা দরকার হলেও তোমরা আল্লাহর কাছে চাও।

রোগবালাই-বিপদাপদ থেকে বাঁচার জন্য রাসুল (সা.) অনেক দোয়া উম্মতকে শিখিয়েছেন। তিরমিজি শরিফে বর্ণিত একটি হাদিসে এক আশ্চর্য দোয়ার কথা নবীজি (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো বিপদগ্রস্ত বা অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখে কোনো বান্দা যদি এ দোয়া পড়ে, তাহলে মৃত্যুর আগে তার জীবনে এ ধরনের বিপদ বা রোগবালাই দেখা দেবে না। দোয়াটি হলো-

‘আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আফানি মিম্মাবতালাকা বিহি ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফফিলা।

অর্থ: সব প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি তোমাকে পরীক্ষার জন্য এ বিপদ দিয়েছেন এবং আমাকে অনুগ্রহ করে বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। আর তিনি আমাকে সৃষ্টিরাজির মধ্যে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন। তিরমিজি, হাদিস নম্বর ৩৪৩১।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর