আপনি পড়ছেন

ইসলাম সামাজিকতার ধর্ম। সমাজে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে এ ব্যাপারে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে মানব হত্যাকে সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু হত্যার চেয়েও জঘন্য অপরাধ বলেছে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাকে। সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার বড় একটি উপায় হলো প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।

mosque in qatar

মানব সমাজ যে সব কারণে বিশৃঙ্খল হয়ে উঠে এর মধ্যে প্রতিবেশীর সুবিধা-অসুবিধা খেয়াল না রাখাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, যার প্রতিবেশী ভালো, তার মত সুখী কেউ নেই। আর যার প্রতিবেশী মন্দ, হিংসুটে- তার মত দুঃখী কেউ নেই।

প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষার ব্যাপারটি ইসলাম খুব গুরুত্বের সঙ্গে ব্যাখ্যা করেছে। হাদিস গ্রন্থগুলো প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষার ব্যাপারে এত এত বর্ণনা এসেছে যে, শুধু প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষার হাদিসগুলো দিয়েই কয়েক ভলিউম বই হয়ে যাবে।

বুখারির এক হাদিস রাসুল (সা.) বলেছেন, জিবরাইল আমাকে প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে এত বেশি গুরুত্ব দিয়ে বলতেন যে, একসময় আমার মনে হলো, আল্লাহ তায়ালা হয়ত প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারও বানিয়ে দেবেন।

islam 4

প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলে বিপদে-আপদে তাকে পাশে পাওয়া যাবে। শুধু দুনিয়ার বিপদেই নয়, আখেরাতের বিপদেও। আল আদাবুল মুফরাদে বর্ণিত হয়েছে, একবার রাসুল (সা) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সে মানুষটিই আল্লাহর কাছে ভালো, যার প্রতিবেশীরা তাকে ভালো জানে।

শুধু তাই নয়, প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ফলে কবরের আজাব মাফ হয়ে জান্নাতও ভাগ্যে জুটতে পারে। মুসনাদের আহমাদ শরিফে বর্ণিত হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে, যখন কোনো মানুষ মারা যায়, আর তার আশেপাশের চার বাড়ির মানুষজন যদি বলে লোকটি খুব ভালো ছিলো- তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের ডেকে বলেন, আমার বান্দারা সাক্ষ্য দিয়েছে, সে ভালো ছিলো, সুতরাং আমি তাকে নেকবান্দাদের সঙ্গেই গ্রহণ করে নিলাম এবং তাকে জান্নাত দান করলাম।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর