আপনি পড়ছেন

খুশি বা আনন্দদায়ক কোনো খবর শুনে পাড়া-প্রতিবেশী আত্বীয়-স্বজনের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। পরীক্ষায় সাফল্য, বিয়ে কিংবা নবজাতক জন্মের আনন্দ মিষ্টি ছাড়া যেন উদযাপনই হয় না। এভাবে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উদযাপন করা কী জায়েজ? আসুন জেনে নিই শরিয়ত কী বলে?

sweet

মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উদযাপন করা না করার পক্ষে-বিপক্ষে শরিয়তের কোনো আদেশ-নিষেধ কিছুই পাওয়া যায় না। এ দিক থেকে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উদযাপনের বিষয়টি শরিয়তের দৃষ্টিতে মোবাহ বা অনুমোদিত।

ইসলামি শরিয়তের একটি নীতিমালা হলো, যেসব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা নেই, তা জায়েজ। এ নীতিমালার আলোকে ফকিহদের মতে, মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উদযাপন করা জায়েজ। ফতোয়ায়ে সুলাসিয়ার ১ম খণ্ডের ৫৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘আনন্দের খবর শুনে মিষ্টি বিতরণ করাতে দোষের কিছু নেই।’

আনন্দ প্রকাশ করার ব্যাপারে শরিয়তের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। ইসলামি শরিয়ত হলো ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম মানুষকে আনন্দ-উৎসব করতে বাঁধা দেয় না। আবু দাউদ শরিফের ১৫২৪ নম্বর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) কে এ দোয়া শিখিয়েছেন, ‘হে আল্লাহ! তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের তাওফিক দাও আমাকে।’

বুখারির ৪৪১৮ নম্বর হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) যখন কাব বিন মালেক (রা.) কে বললেন, হে কাব! আল্লাহ তোমার তাওবা কবুল করেছেন। এ খবর শুনে খুশিতে কাব (রা.) শোকরিয়ার সেজদা করলেন এবং বিপুল পরিমাণ সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিলেন।

এসব হাদিস থেকে প্রমাণ হয়, খুশি প্রকাশে দান-সদকাহ করা, ভালো মন্দ খাবারের আয়োজন করা দোষের কিছু নয়।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর