আপনি পড়ছেন

রাসুল (সা.) এর নামাজ সংক্রান্ত হাদিসগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি নামাজের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি ভিন্ন ভিন্ন দোয়া পড়তেন। নিয়ত বাঁধা থেকে শুরু করে সালাম ফেরানেরা আগ পর্যন্ত নবীজি (সা.) একাধিক পদ্ধতিতে সালাত আদায় করেছেন বলে বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থে পাওয়া যায়।

namaz 2

মুহাদ্দিসরা বলেন, গৎবাধা নিয়মে সালাত আদায় করলে এক সময় মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। তাই রাসুল (সা.) উম্মতকে সালাতে সচেতন থাকার পদ্ধতি শেখানোর জন্য সালাতের পদ্ধতি এবং দোয়ায় বৈচিত্রতা শিখিয়েছেন।

রাসুল (সা.) রুকু সেজদায় সবচেয়ে বেশি দোয়া পড়তেন। রুকুর চেয়ে সেজদাহ নবীজির কাছে বেশি প্রিয় ছিলো। তাই সেজদায় রাসুল (সা.) মর্মস্পর্শী দোয়া বেশি পড়তেন। এমনই একটি দোয়া উল্লেখ করছি।

‘আউজু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা ওয়াবি মুআফাতিকা মিন উকুবাতিকা লা উহসি সানাআন আলাইকা আনতা কামা আছনাইতা আলা নাফসিক।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার ওপর রাগ হয়ো না, খুশি হও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে শাস্তি দিও না, ক্ষমা করো। হে আল্লাহ! আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান তোমার বড়ত্বের প্রশংসা করতে করতে সক্ষম নয়। তোমার প্রশংসা তেমনই যেমন তুমি নিজে করেছো।’

এ চমৎকার দোয়াটি আমরা জেনেছি আম্মাজান আয়শা সিদ্দিকা (রা.) এর মাধ্যমে। আম্মাজান আয়াশা বলেন, এক রাতে আমি রাসুল (সা.)কে বিছানায় না পেয়ে এদিক উদিক তাকাচ্ছিলাম। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছিলো না। আমি স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতে বিছানায় হাতরাচ্ছিলাম। এমন সময় রাসুল (সা.) এর পা আমার হাতে লাগল। আমি বুঝতে পারলাম তিনি সেজদায় আছেন। আমি রাসুল (সা.)কে গুনগুন করে ওপরের দোয়টি পড়তে শুনলাম। তিরমিজি, হাদিস নম্বর ৩৪৯৩।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর