তারল্য সঙ্কট মোকাবেলা ও ঋণের বোঝা লাঘবে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরবর্তী সময়ে তারল্য সঙ্কটের দ্রুত সমাধান এবং ঋণের বোঝা লাঘবে সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তারল্য সঙ্কট মোকাবেলা ও ঋণের বোঝা লাঘবে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

‘ইন্টারন্যাশনাল ডেটআর্কিটেকচার অ্যান্ড লিকুইডিটির’ ওপর ‘ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য এরা অব কোভিড-১৯ অ্যান্ড বিয়ন্ড ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে সোমবার রাতে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উচ্চাভিলাষী ও সমন্বিত বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে ও কোভিড-১৯ পবরবর্তী সময়ে তারল্য সঙ্কট মোকাবেবেলা ও ঋণের বোঝা লাঘবে কাজ করা যায়।

বিশ্ব-নেতাদের এই বৈঠকের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস ওএন, পিএম এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

পুরো বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে, তখন উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণ নিশ্চিতে জরুরি ও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উচ্চ পর্যায়ের এই ভার্চুয়াল বৈঠকের লক্ষ্য হলো তারল্য সরবরাহে ও ঋণ সমস্যা সমাধানে অধিকতর সাহসী ও সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে ভিডিও বার্তায় বলেন, জি-৭, জি-২০ এবং ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে আমাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত দেশ, এমডিবিএস (মাল্টিলেটারেল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকস) এবং আইএফআইএস (ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন) -এর উচিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বৃহৎ পরিসরে ও নতুন ‘স্পেশাল ড্রইং রাইটস’-এর মতো বরাদ্দের মাধ্যমে তারল্য বাড়ানো।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান উপযুক্ত সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক ঋণ কাঠামো সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ দিয়ে বলেন, উন্নত দেশগুলোকে তাদের ০.৭ শতাংশ ও ডে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

নির্বিঘ্নে ব্যবসা কার্যক্রম নিশ্চিতে বাজারে পর্যাপ্ত তারল্য ও ঋণযোগ্য ফান্ড সরবরাহ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ফরেন ট্রেড ও ফাইন্যান্স, রেমিটেন্স, ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট, বৈদেশিক ঋণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সহনীয় করতে সহায়ক নীতি গ্রহণ করেছি।