আপনি পড়ছেন

হাদিস শরিফের ঘোষণা থেকে জানা যায়, পবিত্র জুমাবার সপ্তাহের সেরা দিন। এ দিনে অতীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে এবং এ দিনেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। রাসুল (সা.) জুমাবারকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলেছেন।

about ramadan fast

অনেকেরই প্রিয় অভ্যাস শুক্রবার নফল রোজা রাখা। জুমাবারে রোজা রাখার ব্যাপারে তিরমিজি শরিফে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) প্রতি চন্দ্র মাসের প্রথম তিন দিন রোজা রাখতেন। আর প্রতি শুক্রবারেই রাসুল (সা.) রোজা রাখতেন। খুব কম শুক্রবারই তিনি রোজা ছাড়া থাকতেন।

এ হাদিসের পাশাপাশি তিরমিজি শরিফে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে আরেকটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন কেউ রোজা রাখতেই চায় তবে সে যেন আগের দিন বা পরের দিন মিলিয়ে রোজা রাখে।

তিরমিজি শরিফের দ্বিতীয় হাদিস থেকে বোঝা যায় শুধু জুমার দিন রোজা রাখা মাকরূহ। এ ব্যাপারে হাদিস গবেষকদের একদলের ফতোয়াও তাই। তবে অধিকাংশ হাদিস গবেষক মনে করেন, শুধু শুক্রবার রোজা রাখা মাকরূহ নয়, সুন্নাত।

বিখ্যাত হাদিস গবেষক ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, শুক্রবার হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। তাই শুধু এ দিন রোজা রাখা মাকরূহ। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, পূর্বর্তী উম্মতেরা তাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নফল ইবাদতকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করতেন।

উম্মতের মুহাম্মাদীর মনে যেন এমন ভাবনা না আসে এ জন্য রাসুল (সা.) শুধু জুমার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।

ইমাম শাফেয়ির ফতোয়া হলো, যদি সাধারণ নিয়তে কেউ কেবল শুক্রবারে রোজা রাখে, তাহলে তা সুন্নাহ হবে। ইমাম গাজালি এবং আবু হানিফা ও হানাফি মাজহাবের আলেমদেরও একই ফতোয়া।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর