আপনি পড়ছেন

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১১ সেপ্টেম্বর অবিশষ্ট আড়াই হাজার সেনার ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে দেশটি দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান করতে চলেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে আফগান তালেবানরা তাদের জয় হিসেবে বর্ণনা করেছে।

china afgan home১১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবিশষ্ট আড়াই হাজার সেনা আফগানিস্তান ছাড়বে

বিবিসি বলছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে এরইমধ্যে তালেবানরা রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি তল্লাশি করে সরকারের ঘনিষ্ঠদের সন্ধান করতে শুরু করেছে। হুমকি দিয়েছে, এসব লোকদের ধরে তালেবাদের নিজস্ব আদালতে বিচারের। এতে করে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের চলে যাওয়ার পর নতুন করে নিরাপত্তা সংকট ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অনেকটা দক্ষিণ ভিয়েতনামের মতো দেশটি গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হতে পারে।

আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে এবং তা প্রতিবেশী দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হলে চীন পদক্ষেপ নেবে। বিশেষ করে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে যদি তালেবানদের কর্মকাণ্ড কোনো হুমকির সৃষ্টি করে, তাহলে আফগানিস্তানে শান্তিরক্ষী পাঠাবে চীন বলে খবর দিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

২০১৮ সালে চীন আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং সেখানে একটি পাহাড়ি ব্রিগেড তৈরিতেও ভূমিকা রেখেছে। প্রশিক্ষণটি চীনে হয়েছিল এবং ব্রিগেড তৈরির উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়ি অঞ্চলে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করা।

সাংহাই একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিশেষজ্ঞ সুন কি বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষমতা আফগান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর নেই। ভবিষ্যতে দেশটিতে আরও সমস্যা বাড়বে। সীমান্তে অপরাধ, মাদক পাচার ও অস্ত্রের চোরাচালান বেড়ে যাবে।’

china afgan2২০১৮ সালে চীন আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং সেখানে একটি পাহাড়ি ব্রিগেড তৈরিতে ভূমিকা রাখে

তিনি আরও বলেন, ‘বেইজিং আফগানিস্তানে যদি সেনা মোতায়েন নাও করে, তবুও তারা আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় অন্য দেশগুলোর সমন্বিত বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে। নিরাপত্তার সংকট প্রকট হলে চীন শান্তিরক্ষী পাঠাতে পারে। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের চার্টার মেনে পদক্ষেপ নিতে পারবে চীন। কারণ চীন তার নাগরিক, কোম্পানি ও নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘আফগান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র অনেক বড় প্রভাবক। আফগানিস্তানের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে সে দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মান জানানো উচিত।’

চারহার ইনস্টিটিউট থিংক ট্যাংকের গবেষণা সহকারী ওয়াং জিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রশূন্য আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে চীন। আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তান, ভারত এবং রাশিয়াো দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। স্বাভাবিকভাবেই এতগুলো পরাশক্তিধর দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চীনও এগিয়ে যেতে চাইবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো পশ্চিমা কায়দায় মেটানোর পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে তাদের এখন এশিয়া প্যাসিফিকে মোতায়েন করতে যাচ্ছে মূলত চীনের বিরুদ্ধে। ফলে দক্ষিণ চীন সাগর এবং ইন্দোচায়না পেনিনসুলাতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতি বাড়বে।’

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.