আপনি পড়ছেন

মুসাফির বাদে সুস্থ-সবল প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর ওপর রোজা রাখা ফরজ। সঙ্গত কারণ ছাড়া রোজা ভাঙা বা না রাখা বড় ধরনের গোনাহ। হাদিস শরিফ থেকে জানা যায়, ইচ্ছাকৃত একটি রোজা ভাঙার কাফফারা আদায় করতে হলে ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। তাই পারতপক্ষে রোজা ভাঙা একজন অনুগত মুসলমানের পরিচয় নয়।

summer

গ্রীষ্মকালে বেশ গরম পড়ে। এসময় দিনও বড় থাকে। এমন অবস্থায় অনেকের জন্যই রোজা রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যারা বাইরে শ্রমের কাজ করেন তাদের জন্য। অনেকে আবার প্রচন্ড কষ্ট করে রোজা রাখতে গিয়ে অন্য রোগ বাধিয়ে ফেলেন। বিশেষ করে বৃদ্ধরা।

হাদিস শরিফে গ্রীষ্মকালের রোজার আলাদা ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালের রোজার ফলে দেহে রোজার প্রভাব পড়ে বেশি। এতে করে দেহ অন্য সময়ের চেয়ে বেশি রোগজীবাণু মেরে ফেলতে পারে। তাই গ্রীষ্মকালের রোজা মুমিনদের জন্য বেশি কল্যাণকর, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তবে রোজা রাখতে গিয়ে কারো যদি প্রচন্ড পিপাসায় প্রাণনাশের শঙ্কা দেখা দেয় কিংবা হিট স্ট্রোক অথবা অন্য কোনো রোগ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে অযথা নিজেকে কষ্ট না দিয়ে ওই দিনের বা নির্দিষ্ট দিনগুলোর রোজা ভেঙে ফেলা শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ জায়েজ। এক্ষেত্রে এ রোজাগুলো পরবর্তীতে কাজা আদায় করতে হবে। ড. তাহের আল কাদেরি, ফালাসাফায়ে সিয়াম, ৮১ পৃষ্ঠা।

about ramadan fast

রোজার বিধান ফরজ করার পর সুরা বাকারায় আল্লাহ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ‘আল্লাহ রোজার বিধান দিয়েছেন এর মানে এ নয় যে, তিনি তোমাদের জন্য শরিয়তকে কঠিন করতে চান। বরং তোমরা অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময়ে রোজার সংখ্যাগুলো পূরণ করে নেবে। ‘ওয়াল্লহু ইউরিদু বিকুমুল ইউসরা, ওয়ালা ইউরিদু বিকুমুল উসরা। অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।’

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর