আপনি পড়ছেন

কুরআন অধ্যয়ন ঈমানের দাবী। মহান আল্লাহতা’য়ালা বলেন- “মুমিন তো তারাই যাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং যখন তাঁর আয়াত পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের রবের উপরই নির্ভর করে।” আনফাল ৮: ২)

ramadan and al quaran 2রমজান মাসেই নাযিল হয়েছে আল-কুরআন, যা মানুষের হেদায়াত ও মুক্তির দলিল এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী

রসুল (সা.) বলেন,

“সিয়াম ও কুরআন বান্দার জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। সিয়াম বলবে, “হে আমার রব, আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও কামনা-বাসনা থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।” আর কুরআন বলবে, “আমি তাকে রাতের বেলা নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।” নবীজী (সা.) বলেন, “অতঃপর তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।” (মুসনাদে আহমাদ ৬৬২৬)

আমাদের দেশে না বুঝে কেবল কুরআন পাঠকেই তিলাওয়াত মনে করা হয়। আরবী ভাষা অনুযায়ী তিলাওয়াত শব্দের অর্থ ব্যাপক। মুফাসসিরগণ এর উপর বিশদ আলোচনা করেছেন। তিলাওয়াত শব্দের অর্থ: পাঠ করা, অধ্যয়ন করা, উপলব্ধি করা, বুঝতে পারা, খুঁজে বের করা, শিক্ষা করা, উচ্চস্বরে পাঠ করা, আবৃত্তি করা, জনগণকে পাঠ করে শুনানো, অনুসরণ করা, অনুকরণ করা, মেনে চলা, গ্রহণ করা, বহন করা ইত্যাদি। (A Dictionary of Modern Written Arabic)

কুরআন মজীদে ৬৩ বার তিলাওয়াত শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

সুরা বাকারার ১২১ আয়াতে বলা হয়েছে-

“যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তাদের যারা যথাযথভাবে একে তিলাওয়াত করে (হাক্কা তিলাওয়াতিহি) তারাই এতে ঈমান রাখে, আর যারা একে প্রত্যাখ্যান করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।”

এ আয়াতে উল্লেখিত “হাক্কা তিলাওয়াত” বা যথাযথভাবে তিলাওয়াত শব্দের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের বুঝ ও ধারণা পরিষ্কার করার জন্য তার কিছু এখানে আমরা তুলে ধরছি।

# মুফতী শফী (রহ.) তার মা’আরেফুল কোরআনে এ আয়াতের ভাবার্থ ব্যাখ্যা করে বলেন- “তারা যা যথার্থভাবে তেলাওয়াত করে (অর্থাৎ বোধশক্তিকে বিষয়বস্তু হুদয়ঙ্গম করার কাজে নিয়োগ করে এবং ইচ্ছাশক্তিকে সত্যের অনুসরণে ব্যবহার করে।)” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকাশিত, ১ম খণ্ড পৃ: ৩৩৯)

অন্যত্র তেলাওয়াত শব্দের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন-

“তেলাওয়াতের আসল অর্থ অনুসরণ করা। কোরআন হাদীসের পরিভাষায় এ শব্দটি কোরআন ও আসমাসী কিতাব পাঠ করার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কারণ যেসব লোক এসব কালাম পাঠ করে- এর অনুসরণ করাও তার অবশ্য কর্তব্য হয়ে পড়ে।” (ঐ, পৃ. ৩৬৫)

তিনি আরো বলেন,

“তবে এতে সন্দেহ নেই যে, কোরআন অবতরণের আসল লক্ষ্য হলো তার প্রদর্শিত জীবন-ব্যবস্থার বাস্তবায়ন। তার শিক্ষাকে বোঝানো। সুতরাং শুধু শব্দ উচ্চারণ করেই তুষ্ট হয়ে বসে থাকা কোরআনের বাস্তব রূপ সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং তার অবমাননারই নামান্তর।” (ঐ, পৃ. ৩৬৮)

তিনি বলেন,

“কোরআনের অর্থ হৃদয়ঙ্গম করা এবং তার বিধি-বিধান পালন করা যেমন-ফরয ও উচ্চস্তরের ইবাদত, তেমনিভাবে তার শব্দ তেলাওয়াত করাও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত ও সওয়াবের কাজ।” (ঐ, পৃ.৩৬৮)

তাফসীরে ইবনে কাসীরে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় সাহাবী ও পরবর্তীকালের কুরআন বিশেষজ্ঞদের উক্তি পেশ করা হয়েছে। তার কিছু নিম্নে উদ্ধৃত করা হলা-

“হক আদায় করে পাঠ করা সম্পর্কে ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন, “সেই সত্ত্বার শপথ, যার হাতে আমার জীবন, হক আদায় করে আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করার মানে হল, তার হালালকে হালাল হিসেবে গ্রহণ করা, হারামকে হারাম হিসেবে গ্রহণ করা, আল্লাহ তাকে যেভাবে নাযিল করেছেন সেভাবে তাকে পাঠ করা, তার বক্তব্য বিকৃত ও স্থানচ্যুত না করা এবং তার মনগড়া ব্যাখ্যা না করা।”

উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেছেন, “এখানে সেসব কুরআন পাঠকারীদের কথা বরা হয়েছে যারা পাঠকালে রহমতের আয়াত উচ্চারণ করলে সাথে সাথে আল্লাহর কাছে রহমত প্রার্থনা করে আর শাস্তির আয়াত উচ্চারণ করলে সাথে সাথে আল্লাহর শাস্তি থেকে আশ্রয় চেয়ে নেয়।”

সুফিয়ান সওরী (রহ.) ইবনে আব্বাস (রা.)- এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন: “আল্লাহর কিতাবকে হকভাবে তিলাওয়াত করার মানে তার অনুসরণ ও অনুবর্তন করা।”

উল্লেখিত দুই খানি কুরআনের আয়াত হতে আমরা জানলাম, যারা বুঝে বুঝে হক আদায় কুরআন তিলাওয়াত করে এবং এর বিধান অনুসরণ করে তারাই প্রকৃত ঈমানদার। এরূপ ঈমানদারদের সামনে কুরআনের আয়াত পড়লে তাদের অন্তত দেহ-মন অনুরণিত ও কম্পিত হয় এবং তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়। হক আদায় করে কুরআন তিলাওয়াতের অর্থ হচ্ছে কুরআনের বক্তব্য উপলব্ধি করা, সে অনুযায়ী সাড়া দেয়া এবং বাস্তব জীবনে তা মেনে চলা।

আমরা কুরআন পড়ছি। রমজানে সাধ্যমত হয়তো বেশী বেশীই পড়ছি। কুরআন কি বুঝে পড়ছি? কুরআন পড়ার সময় কি আল্লাহর সত্য কালামের সম্মুখীন হয়ে শিহরিত হচ্ছি? কুরআনের নির্দেশনার দাবী উপলব্ধি করে কি তা মানার ও বাস্তবায়নের তাকীদ অনুভব করছি? সাধ্যানুযায়ী তা মানার কি চেষ্টা করছি? তাহলে, সত্য সত্যই হক আদায় করে কুরআন পাঠ করতে পারছি। অন্যথায়, আমাদের মনোযোগ আর প্রচেষ্টা আরো জোরদার করতে হবে।

কুরআনকে ফরয করা হয়েছে:

আল্লাহপাক বলেন, “হে নবী নিশ্চিত জেনো যিনি কুরআন তোমার উপর ফরয করেছেন তিনিই তোমাকে এক পরম কল্যাণময় পরিণতিতে অবশ্যই পৌঁছাবেন।” (কাসাস ২৮: ৮৫)

কুরআন অধ্যয়নে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে কারণ- কুরআন অধ্যয়ন নফল কাজ নয়। কুরআনের উপর ঈমান আনা, তার শিক্ষা জানা, মানা, প্রচার ও বাস্তবায়নকে ফরয করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে কুরআন শিক্ষা করা ফরয।

কুরআন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে:

আল্লাহতা’য়ালা বলেন:

“কুরআন তো তোমার ও তোমার সম্প্রদায়ের জন্য সম্মানের বস্তু। তোমাদের অবশ্যই কুরআন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।” (যুখরুফ ৪৩: ৪৪)

এর তাৎপর্য হল, মানুষ কুরআনের আদেশ-নিষেধ ও হুকুম-আহকাম পালন করেছে কিনা, তা মানুষকে জানানোর জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছে কিনা সে সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বস্তুত: কুরআনের ভিত্তিতেই হাশরের ময়দানে বিচার-ফয়সালা হবে। এজন্য রসুল (সা.) বলেছেন, “কুরআন তোমার পক্ষে দলিল অথবা বিপক্ষের দলিল।” (মুসলিম, কিতাবুত তাহারাত)

অতএব, যে কেবল না বুঝেই কুরআন তেলাওয়াত করলো, এর অর্থ বুঝলো না, নবী (সা.)-এর সুন্নাহ হতে এর বাস্তব প্রয়োগ কি হবে তা জানার জন্য তাফসীর পড়লো না বা শুনলো না, এর হুকুম-আহকাম বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নিল না- কুরআন কিভাবে তার পক্ষে দলিল হবে? প্রত্যেককে গভীরভাবে বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।

হিদায়াত লাভের জন্য কুরআনকে সহজ করা হয়েছে:

এখন কুরআন বুঝার জন্য সবাইকে মুফাসসীর বা ফকীহ হতে হবে এমন প্রয়োজন নেই। বিষয়টি ইতিপূর্বে আমরা আলোচনা করেছি। প্রত্যেকে তার সাধ্য অনুযায়ী কুরআন বুঝার চেষ্টা করবে। কিছু মানুষ আছে যাদের ধারণা কুরআন বুঝা সম্ভব নয়- এর জন্য ১৬ বা ১৮ রকম বা আরো বেশী প্রকারের ইলম প্রয়োজন, তারা এসব কথা বিশ্বাস করে কুরআন নিজেরাও বুঝে পড়েন না, অন্যদের বুঝে পড়তে বাধা দেন, নিরুৎসাহিত করেন।

বস্তুত: কুরআন তাফসীরের জন্য বহুবিধ জ্ঞান প্রয়োজন। কারণ কুরআন সর্বজ্ঞানের আধার। কিন্তু একজন হকপন্থী আলিম, মুফাসসীর কুরআন অনুবাদ বা তাফসীর করেছেন তা পাঠ করার জন্যও এ পরিমাণ ইলম লাগবে এমন কথা কোনো প্রকৃত আলিম ব্যক্তি বলেছেন বলে জানা নেই। মুফতী শফী (রহ.)-এর মা’আরেফুল কোরআন, আল্লামা শিব্বির আহমাদ উসমানীর- তাফসীরে উসমানী প্রভৃতি তাফসীরসমূহ রচনার উদ্দেশ্যেই হলো সর্বসাধারণের জন্য কুরআনের শিক্ষাকে অবারিত করা। বাংলা ভাষায় বেশ কিছু ভাল তাফসীর পাওয়া যায়। ইংরেজীতে যারা সাচ্ছন্দ বোধ করেন তাদের জন্যও Abdullah Yusuf Ali-র The Holy Quran, Dr. Taqi-ud-Din Al-Hilali এবং Dr. Mohammad Muhsin Khan-এর The Noble Quran বাজারে পাওয়া যায়। যারা এখনো কুরআন বুঝে বুঝে পাঠ শুরু করেননি তারা যেকোনো একটা সহীহ তাফসীর সংগ্রহ করে অধ্যয়ন শুরু করুন। মহান আল্লাহতা’য়ালা তাঁর বান্দাদের সুসংবাদ দিয়ে বলেছেন- “কুরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব, উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছ কি?” (সুরা কামার ৫৪: ১৭, ২২, ৩২, ও ৪০ নং আয়াত)

একই সুরায় চার চারবার এ সুসংবাদ ও আহবান করেছেন আপনার আমার মহান রব। আমরা কি সাড়া দিব না?

করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। দেশে-দেশের বাইরে সর্বত্র নানা দুঃসংবাদ। প্রতিবেশী ভারতে মানুষ কঠিন দুঃসময়ে নিপতিত। মুম্বাই পুলিশ থেকে মুসলমানদের প্রতি তারাবীর পর দোয়ার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। আমরাও সবার প্রতি একই আহবান জানাই। ভারতে কোটি কোটি মুসলিম ভাই-বোন আছেন তাদের জন্য দোয়া করি। দোয়া করি অমুসলিম ভাই-বোনদের জন্যও। মানবীয় সম্পর্কে সবাই আমাদের ভাই বা বোন। রসুল (সা.) দূভিক্ষের সময় মদীনা থেকে মক্কার কুরাইশদের জন্য খাদ্যসামগ্রী ও অর্থ পাঠিয়েছিলেন। অথচ তারা তখন রসুল (সা.)-এর বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে তারা তাকে ও তার সাহাবীদের নির্যাতন করে মক্কা থেকে হিযরত করতে বাধ্য করেছে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। সে অনুসারে মুসলিম দেশগুলো ভারতকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে। আল-হামদুলিল্লাহ। এটাই আমাদের নবীর (সা.) শিক্ষা। নবীর (সা.) রাজনীতি। মানুষের কল্যাণ সাধনই মুখ্য কথা। ইসলাম আমাদের লুটপাট, হট্টগোল নিরীহ মানুষ হত্যা করতে শিখায় না। সবাই সর্বস্তরে কল্যাণমুখী কাজ করতে এগিয়ে আসি। সব রকম মিথ্যাচার ও উগ্রতা পরিহার করি।

আমরা ছোট দেশ। আমাদের সামর্থ সীমিত, তথাপি আমরা দোয়া করি সবার জন্য। দোয়া করি সবার সুস্থতা ও নিরাময়ের জন্য। হায়াতে তাইয়্যেবার জন্য। হেদায়াতের জন্য। সার্বিক কল্যাণের জন্য। একই সাথে দোয়া করি যেন এই ভ্রাতৃত্বের অনুভূতি স্থায়ী হয়। করোনা ইনশাল্লাহ একদিন চলে যাবে। বিপদ এলে, গযব এলে ফিরআউন মুসা (আ.)-এর কাছে দোয়া করার জন্য ফরিয়াদ করতো। তারপর আল্লাহপাক বিপদ কাটিয়ে দিলে তৎকালীন মুসলমান বনীইসরাইলের উপর আবার নির্যাতন শুরু করতো। আল্লাহ সবাইকে বুঝ দিন। ভারতবাসীর কাছে, বিশ্ববাসীর কাছে আহবান, সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে, ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করা বন্ধ করুন। ধর্মহীন জীবন যাপন থেকে ফিরে আসুন। সবাই নিজ নিজ ধর্মের মৌলিক শিক্ষার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন। নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন করুন। সত্য ধর্মকে জানুন ও তারই অনুসরণে উদ্যোগী হোন। ধর্মপ্রাণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া বন্ধ করুন। যত তাড়াতাড়ি আমরা উপলব্ধি করবো যে, বর্তমান এই পরিস্থিতির জন্য ভোগবাদী ও উগ্র ধর্মহীন কর্মকাণ্ডই দায়ী ততই আমাদের সবার জন্য মঙ্গল।

আমাদের দেশেও করোনা পরিস্থিতি ভাল না। সবাই সাবধানে থাকি। স্বাস্থ্যবিধি, ডাক্তার ও প্রশাসনের পরামর্শ মেনে চলি। স্বাস্থ্যবিধি মানা ঈমান ও তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয়। রসুল (সা.) আমাদের উট বেঁধে অর্থাৎ আগে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে তারপরই ফলাফলের জন্য আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের নির্দেশ দিয়েছেন। রোজার মাকসাদ জেল্লাদার ঈদ ও মজাদার ইফতার নয়। রোজা আত্মশুদ্ধি, গুনাহর মাফি ও পারস্পারিক সহানুভূতি সৃষ্টির দাবী নিয়ে আসে। আর যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে এ দাবী আরো বহুগুণে জোরালো। ইনিয়ে বিনিয়ে মানুষকে বাজারমুখী করার জন্য যারা কথা বলেন তারা আল্লাহকে ভয় করুন। ব্যবসা করুন হালালভাবে করুন, মানুষের কল্যাণে কাজ করুন। আল্লাহর কাছে সবাই বরকতের জন্য দোয়া করুন। ভারতের উদাহরণ থেকে শিক্ষা নিন। উপলব্ধি করুন কিভাবে কিছু মানুষের সীমাহীন লোভ- ক্ষমতার প্রতি, অর্থের প্রতি, একটি জাতিকে আজ কঠিন বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জ্ঞানবান মানুষেরা অন্যের পরিণাম থেকে শিক্ষা নেয়। তাই একেবারে জরুরত ছাড়া বাজারমুখী না হই। ঠাট-বাটের অর্থহীন প্রদর্শনীর জন্য সময় সম্পদ এনার্জি ব্যয় না করে ইবাদত বন্দেগী ও দুঃখী মানুষের কল্যাণে তা কাজে লাগাই। এই সময় যারা জনগণের কল্যাণের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তাদের ও তাদের পরিবারের সুস্থতা, নিরাপত্তা ও হায়াতে তাইয়্যেবার জন্য দোয়া থাকলো। আসুন সবাই পরস্পরের জন্য এই বরকতময় মাসে, দোয়া কবুলের মাসে দোয়া করি। আল্লাহতা’য়ালা সবার প্রতি রহম করুন, আমীন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর