আপনি পড়ছেন

মহান আল্লাহতা’য়ালা বলেন- “আলিম-লাম-রা, এই কিতাব, ইহা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানবজাতিকে তাদের রবের নির্দেশক্রমে বের করে আনতে পার অন্ধকার থেকে আলোকে, তাঁর পথে- যিনি পরাক্রমশালী, প্রশংসিত।” (ইব্রাহীম ১৪: ১)

al quaran study ramadan

রসুল (সা.) বলেন,

“কুরআন পাঠকারীগণ আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর খাস বান্দা” (মুসনাদে আহমাদ)

তিনি আরো বলেন,

“আল্লাহতা’য়ালা এই কিতাবের মাধ্যমে একদলকে সম্মানিত করবেন এবং অপর দলকে অপদস্ত করবেন।” (মুসলিম)

হাদীসে রসুলে কুরআন অধ্যয়ন প্রসঙ্গে হেদায়াত:

আমাদের সমাজে দীনদারী ও পরহেজগারী সম্পর্কে নানা ধারণা প্রচলিত আছে। কুরআনের সাথে ন্যূনতম সম্পর্ক নেই এমন মানুষদেরও দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞানী ও মুক্তাকী হিসেবে এখানে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ ধরনের বাহ্যিক বেশ-ভুষা এবং সর্বমহলকে খুশী করার প্রবণতা ও সামর্থ আছে এমন মানুষদেরই ভাল মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

নবী (সা.) বলেন,

“তোমাদের মধ্যে সে-ই শ্রেষ্ঠ যে কুরআন নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।” (বুখারী)

জান্নাতে প্রবেশ করার শর্ত কুরআনের আদেশ-নিষেধ জানা, মানা এবং বাস্তবায়নের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো:

কুরআন শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেয়া সম্পর্কে আমাদের ধারণা কেবল কুরআন সহীহভাবে তেলাওয়াত করতে পারা এবং তা শিক্ষা দেয়া। অবশ্যই মহান আল্লাহর কালাম কুরআন সহীহভাবে পাঠ করতে শিক্ষা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ জরুরী ইবাদত। কিন্তু কুরআনা শিক্ষার দাবী আরো ব্যাপক। আলী (রা.) বলেন,

“যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে, কুরআনকে বিজয়ী করার চেষ্টা করেছে আর কুরআনের হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম হিসেবে গ্রহণ করেছে তাকে আল্লাহতা’য়ালা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী)

কুরআন নিয়ে রাত-দিন দাঁড়াতে হবে:

আমরা সাধারণত উচ্চ আয়ের দেশে বাড়ি-গাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যাংক-ব্যালেন্সের অধিকারী মানুষদেরই সফল মনে করি। আমাদের মা-বোনদের ক্ষেত্রে শাড়ী-গহনা, সাজ-সজ্জা, সুসজ্জিত বাড়ি-ঘরও অন্তর্ভুক্ত। সবার মনেই আপসোস ইস আমারও যদি এমনটা থাকতো; দ্বীনি পরিমন্ডলের মানুষদের মধ্যেও আজকাল এসবকেই সাফল্য ও যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা করা হচ্ছে। অথচ এসব হিংসা জায়েয নয়। নবী (সা.) বলেন-

“দুই ব্যক্তি ছাড়া আর কাউকে হিংসা করা বৈধ নয়। তারা হল- ১. ওই ব্যক্তি যাকে আল্লাহতা’য়ালা কুরআনের জ্ঞান দান করেছেন, অতঃপর সে রাত-দিন কুরআন নিয়ে দাঁড়ায়। ২. আর ওই ব্যক্তি যাকে আল্লাহতা’য়ালা অর্থ-সম্পদ দান করেছেন, অতঃপর সে রাত-দিন তা থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে খরচ করে।” (বুখারী, মুসলিম)

রাত-দিন কুরআন নিয়ে দাঁড়ানো অর্থ কুরআন শিক্ষা করা, শিক্ষা দেয়া, তার প্রচার-প্রসার ও বাস্তবায়নের জন্য দিবা-রাত্র নিরলস প্রচেষ্টা চালানো। আমরা তো নবী (সা.)-এর উম্মত, তার একান্ত অনুসারী। তার সাথে দৃষ্টিভঙ্গির এত পার্থক্য হলে উম্মত হিসেবে দাবী কি যথাযথ হয়? তিনি যার জন্য প্রতিযোগিতা করতে বললেন তা আজ আমরা অপছন্দ করি। আর যা নিষেধ করলেন তার পিছনে সবাই উর্ধশ্বাসে ছুটছি! কেউ বলবেন তা কিভাবে? বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী বাছাইয়ের সময় আমরা কাদের প্রাধান্য ও পছন্দ করছি তা থেকেই আমাদের পছন্দ-অপছন্দ বের হয়ে আসে। কাল কিয়ামতের দিন কিভাবে তার উম্মত হিসেবে আমরা দাঁড়াবো? কিভাবেই বা হাউজে কাউসারের পানির হকদার হবো সে চিন্তায় আতঙ্কিত বোধ করি। সবাই একটু ভেবে দেখবেন। সামান্য সময়ের স্বার্থ ও ঠাট-বাট যদি চিরস্থায়ী স্বার্থ ও নাজাতকে বাধাগ্রস্ত করে, চিরস্থায়ী কষ্ট ও আযাবের দিকে ঠেলে দেয় তা কি জ্ঞানীর কাজ হব! মানুষ তো নিজের স্বার্থও বুঝে। আল্লাহর বান্দা-বান্দীরা আসুন রসুলের (সা.) মানদণ্ডের আলোকে সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ধারণের চেষ্টা করি।

কুরআন শিক্ষার ফযীলত, বিশেষত হুকুম-আহকাম, ইসলামী জীবন দর্শনের- তালিম সম্বলিত বড় বড় সুরাগুলি শিক্ষার গুরুত্ব ও তাগিদ:

রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

“যখনই কিছু লোক আল্লাহর ঘরসমূহের কোনো একটা ঘরে একত্র হয়ে আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে এবং পরস্পরকে দারস তথা শিক্ষা দান করে, তখন অবশ্যই তাদের প্রতি নেমে আসে প্রশান্তি, তাদের প্রতি বর্ষিত হতে থাকে আল্লাহর রহমত, ফেরেস্তারা ডানা বিস্তার করে দেয় তাদের দিকে, আর আল্লাহ তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন তাঁর নিকটবর্তী ফেরেস্তাদের সাথে।” (মুসলিম)

রসুলে পাক (সা.) আরো বলেছেন-

“তোমরা কুরআন পাঠ কর। কিয়ামতের দিন কুরআন তার সাথীদের জন্য সুপারিশকারী হিসেবে আবির্ভূত হবে। তোমরা দুই উজ্জ্বল সুরা (যাহরাওয়াইন) সুরা বাকারা ও সুরা আলে-ইমরান পড়বে। কেয়ামতের দিন এরা দুটি মেঘ খণ্ড অথবা দুটি সামিয়ানা অথবা দুটি পক্ষ প্রসারিত পাখির আকারে আসবে এবং তাদের পাঠকদের জন্য আল্লাহর নিকট আরজি করবে। বিশেষ করে তোমরা পড়বে সুরা বাকারা, এর অর্জন হচ্ছে বরকত এবং বর্জন হচ্ছে আক্ষেপ, তা পড়তে পারে না কেবল অলসেরা।” (মুসলিম)

আমাদের সমাজে বাল্যকালে কোনো রকম কুরআন তেলাওয়াত শিক্ষা এবং নামাজের জন্য সুরা ফাতিহা ও শেষ দশটি সুরা শিক্ষা করার মধ্যেই কুরআন শিক্ষা সীমাবদ্ধ। কেউ কেউ হয়তো বরকতের জন্য সুরা আর-রহমান, সুরা মুলক, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা ইয়াসীন, সুরা মুযাম্মিল প্রভৃতি সুরা মুখস্থ করেন। কিন্তু কি পড়ছেন তারা কিছুই বুঝেন না। মন্ত্রের মতো পড়ে যান, তাদের মনের বিভিন্ন আশা-আকঙ্ক্ষা পূরণ হবে এই আশায়। অথচ এজন্য কুরআন নাযিল হয়নি। আরো দুঃখজনক, মুসলিম সমাজে লক্ষ লক্ষ হাফিজ সাহেবরা আছেন, যারা তাদের বুকে গোটা কুরআনকে ধারণ করেন। কিন্তু তার এক বর্ণও তারা বুঝেন না, বুঝার চেষ্টাও করেন না, বুঝার কোনো জরুরত আছে তা-ও উপলব্ধি করেন না। আস্তাগফিরুল্লাহ, আউ’যবিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। এ অবস্থা হতে পানাহ দিন। উল্লেখিত হাদীস দু’খানিতে কুরআন গভীরভাবে অধ্যয়ন করা এবং বিশেষত: হুকুম-আহকাম ও আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য উদাহরণ-মেসাল সম্বলিত বড় বড় সুরাগুলি পাঠের তাগিদ এসেছে। সবাই বিষয়টি উপলব্ধি করি ও আমলে আনতে সচেষ্ট হই।

ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করছেন। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

“আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এ দুটিকে আকড়ে ধরে থাকবে, ততদিন তোমরা বিভ্রান্ত, বিপথগামী হবে না। সে দুটি জিনিস হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রসুলের সুন্নাহ।” (মুসনাদে আহমাদ)

কুরআন অধ্যয়ন সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম (রা.):

কুরআনকে আকড়ে ধরে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হয়েছিলেন। দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতেই তারা আল্লাহর রহমত লাভ করেছিলেন। কুরআন অধ্যয়ন সম্পর্কে তাদের চিন্তাধারার কিছু অংশ নিম্নে উপস্থাপন করা গেল।

আলী (রা.) বলেন- “কুরআন পাঠে কোনো কল্যাণ নেই যদি তা নিয়ে ভাবা না হয়, চিন্তা করা না হয়।” আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) এর মতে, “ঈমানের চিহ্ন হচ্ছে কুরআন বুঝা।” আনাস (রা.) বলেন, “এক ব্যক্তি প্রায়ই কুরআন তেলাওয়াত করে, কিন্তু কুরআন তাকে অভিশাপ দেয়, কারণ সে কুরআন বুঝে না।”

ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, “তোমরা কুরআন গড়গড় করে বস্তা থেকে বালি পড়ার মাতো অনর্গল পড়ে যেয়ো না। প্রলাপ বাক্যের মতোও পড়ো না। এর প্রতিটি বিস্ময়ের কাছে থামো। হৃদয়কে নাড়ো। একটা সুরা দ্রুত শেষ করে ফেলাটাই যেন তোমার উদ্দেশ্য না হয়।”

তিনি আরো বলেন, “অবশ্যই এই কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে দস্তরখান (মেহমানদারী)। তাই তোমার সাধ্যানুযায়ী আল্লাহর দস্তরখান থেকে জ্ঞান গ্রহণ করো। অবশ্যই এই কুরআন আল্লাহর রজ্জু, পরিচ্ছন্ন আলো এবং কল্যাণময় প্রতিকারক। যে কুরআনকে শক্ত করে ধরবে কুরআন তাকে রক্ষা করবে। যে তাকে অনুসরণ করবে, সে তার জন্য (জাহান্নাম থেকে) মুক্তির উপায় হবে।” (হাকেম)

আলী (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.)-কে (সুরা মুযাম্মিলে উল্লিখিত) তারতীলের সাথে কুরআন পাঠের ধরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন: “স্পষ্ট স্পষ্ট করে পাঠ করো। গদ্যের মতো গড়গড় করে বা পদ্যের মতো টেনে-হিঁচড়ে পড়ো না। কুরআনের প্রতিটি বিস্ময়কর বক্তব্য (তথা আয়াত) পাঠ করে থামো। তার দ্বারা হুদয়কে আন্দোলিত করো। কোনো একটা সুরা (দ্রুত পাঠ করে) শেষ করাটাই যেন তোমার উদ্দেশ্য না হয়।” (তাফসীরে মিযান)

আমরা কুরআন পড়ছি। কিন্তু আল-কুরআনের নির্দেশনা, রসুল (সা.)-এর সুন্নাহ বা আদর্শ এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর অনসৃত নীতি অনুযায়ী করছি খুব সামান্যই। ফলে আমাদের জীবনে কুরআনের ছাপ কমই দেখা যায়। সোজা ভাষায় বুঝে নেই- কুরআন কোনো মন্ত্রের কিতাব নয়- এটা একটা জীবনবিধান, জীবনদর্শন। যার দাবী হল তা পড়া হবে, বুঝা হবে, মানা হবে। মহান আল্লাহতা’য়ালা এভাবে কুরআন পাঠের তাওফীক আমাদের দান করুন।

রমজানের অর্ধেক চলে যাচ্ছে। এ এক বিষাদময় অনুভূতি। করোনা পরিস্থিতিও গোটা বিশ্বে এবং আমাদের প্রতিবেশী অঙ্গনে কঠিন রূপ ধারণ করেছে। মৃত্যু জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণাম। তবুও আমরা কেউই মৃত্যু বরণ করতে চাই না। মুমিন ব্যক্তি মৃত্যুকে ভয় করেন না- এমনই ভাব দেখান অনেকে। না ব্যাপারটা তা নয়। মুমিনও মৃত্যুকে অপছন্দ করে। কিন্তু তার অবশ্যসম্ভাবী পরিণাম ও তার পর-জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। আজ হোক, কাল হোক মৃত্যু আমাদের হবেই করোনা বা অন্য কোনো কারণে।

মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। তবে আল্লাহর সন্তোষভাজন হয়ে মৃত্যুর উপায় আছে। ঈমানী জিন্দেগী যাপন করি। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে প্রত্যেকেই নিজ নিজ চিন্তাধারা, জীবনদর্শন, ভাল-মন্দের নীতিমালা, কল্যাণ-অকল্যাণের বুঝ, সফলতা-বিফলতার ধারণা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি, ব্যক্তি-পরিবার-সমাজে অনুসৃত নীতিমালা, কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা তথা জীবনের সামগ্রিক নীতি ও কাজগুলো মিলিয়ে দেখি- তা কি ঈমানের দাবী অনুযায়ী হচ্ছে, না তার পরিপন্থী।

নতুন জামাকাপড়, ভাল খানা-পিনা কার না ভাল লাগে? কিন্তু কবরই যার গন্তব্য সে কতটুকু সময়-সম্পদ-সামর্থ এর পিছনে ব্যয় করবে তার চিন্তা করা দরকার নয় কি? দুনিয়ায় ভোগ-সম্ভার নিয়ে ভাবার সময় কি এখনো আসেনি আমাদের। তা কখনোই পুরো হবার নয়। অনেকেরই এমন কাপড় পাওয়া যাবে যা কেনার পর ব্যবহারই করা হয়নি। প্রতিটি জিনিস পাওয়ার আগ পর্যন্ত তা অর্জন করার প্রবল আগ্রহ হয়। যেন তা না হলে জীবন বৃথা। তারপর তা পেয়ে গেলে আরেকটা কিছুর প্রতি মোহ তৈরি হয়। রসুল (সা.) তো সত্যই বলেছেন-

“আদম সন্তানের পেট, চোখ ও মুখ মাটি ছাড়া কিছু দিয়ে ভরবে না।”

এক ইসলামী চিন্তাবিদ বলেছিলেন- “we are buying the things we don’t need, for the people we don’t love, with the money we don’t have.” কি বাস্তব এই কথা! আমরা আমাদের প্রয়োজন নয়- এমন জিনিস কিনছি, অনেক সময় সামাজিকতার দোহাই দিয়ে এমন সব লোকদের জন্য যাদের আমরা পছন্দ করি না, আর এর জন্যই আমরা আমাদের ঋণের বোঝা বাড়িয়ে চলছি!!!

আল্লাহ আমাদের রমজানগুলি জীবনের সত্য উপলব্ধিতে পরিপূর্ণ করে দিন। হতাশ না হই। আল্লাহর রহমত মুমিনদের সাথে আছে। আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে আছেন। তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করি। তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য জীবনের সব কাজ করতে সচেষ্ট হই।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর