ইসলামে শান্তি খুঁজে পাওয়ার গল্প শোনালেন ‘বিজয়ালক্ষ্মী’
- Details
- by ইসলাম
নাম ছিল বিজয়ালক্ষ্মী, জন্ম ভারতের কেরালা রাজ্যের এক হিন্দু পরিবারে। ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেওয়ার পর এখন তার নাম ফাতিমা নওশাদ। ধর্ম-বিশ্বাস বদলানোর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিবেশে বেড়ে ওঠা তার জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলেছিল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফাতিমা।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যটির মুসলিম-প্রভাবাধীন পরিবেশে বেড়ে ওঠেন বিজয়ালক্ষ্মী। শৈশব থেকেই ইসলামি সংস্কৃতির প্রতি তার অস্বাভাবিক অনুরাগ ছিল। সবসময় ইসলাম সম্পর্কে জানার তীব্র আগ্রহ তার মধ্যে কাজ করত।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম খালিজ টাইমসকে তিনি বলেন, ‘ইসলামে আকৃষ্ট হওয়ার পথে আমার ওপর বন্ধুভাবাপন্ন, উদার এবং কোমল হৃদয়ের মুসলিমদের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমার মনে হয়, একজন মুসলিমের প্রেমে পড়ার পেছনে এটিই ছিল একমাত্র কারণ।’
কোনো মুসলিমের প্রেমে পড়াকে অধিকাংশ হিন্দুবাড়িতে জঘন্য পাপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে, ফাতিমা এ ক্ষেত্রে ভাগ্যবান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি একজন মুসলিমকে বিয়ে করার জন্য পরিবারের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। পেয়েছিলেনও।
তিনি বলেন, ‘লোকেরা ভাবতে পারেন যে, আমি বিয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেছি। সত্যি বলতে কী, আমি হিন্দু থাকা অবস্থায়ও রোজা রাখতাম। আমি আমার বন্ধু-বান্ধব এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ইসলাম এবং এর মূল্যবোধ সম্পর্কে শিখেছি। এতে আমার বাবা-মা কখনও বারণ করেননি। আমরা কট্টর হিন্দু পরিবারের সদস্য ছিলাম না। বাবা-মাকে যখন একজন মুসলিমের সঙ্গে বিয়ের কথা বলি, তখন তারা সম্মতি দেন।’
দুই দেশে দুটি আলাদা বিয়ে অনুষ্ঠান করার অঙ্গীকার নিয়ে এ দম্পতি বিয়ের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পাড়ি জমান।
কালেমা শাহাদাতের ঘোষণা দেওয়াটা জীবনে কী রকম প্রভাব ফেলেছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে ফাতিমা নওশাদ বলেন, ‘দারুণ প্রশান্তি অনুভব করেছিলাম। এখন আমি সবসময় সুখী ও স্থির বোধ করি। যখন নামাজ পড়ি, আমার আত্মা প্রশান্ত হয়। আল্লাহর দরবারে হাজিরা দেওয়ার জন্য আমি যখন নামাজে দাঁড়াই, আমার ভেতর কাজ করা বাজে চিন্তা এবং মানসিক চাপ দূর হয়ে যায়। জায়নামাজ থেকে ওঠার পর নিজেকে বেশ সতেজ এবং সুখী মনে হয়।’
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর