সম্ভাব্য আরেক মহামারি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব

আগামীতে করোনাভাইরাসের চেয়ে অনেক বেশি প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)। আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট এক অনুষ্ঠানে এমন সতর্কবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এএমআর হলো- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস ও প্যারাসাইটের সময়ের সঙ্গে বদলে যাওয়া এবং তা প্রতিরোধে ওষুধ কাজ না করা। এর ফলে সৃষ্ট ইনফেকশনের চিকিৎসা দুরূহ হয়ে পড়ে, যা রোগের দ্রুত বিস্তার ও মৃত্যু ঘটায়।

এএমআর-এর ওপর ‘হাই লেভেল ইন্টার‌্যাকটিভ ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, এএমআর-বিরোধী লড়াই এবং ভবিষ্যৎ মহামারি প্রতিরোধে ৫টি প্রস্তাব বা পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

সময় মতো পদক্ষেপ না নিলে এএমআর বিপদ সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়বে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাতে ধ্বংসের মুখে পড়বে মানবজীবন, প্রাণী ও গাছপালা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ এএমআরের প্রভারে বছরে মৃত্যু হবে ১ কোটি মানুষের। অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার।

এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সম্ভাব্য এই মহাবিপদ প্রতিরোধে সরকারের নানা প্রচেষ্টার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর মধ্যে রয়েছে- ২০১৫ সালের ‘গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান’, ২০১৬ সালের ‘ইউএন পলিটিক্যাল ডিক্লিয়ারেশন’ এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

এএমআর গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের সহ-সভাপতি শেখ হাসিনা আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, এএমআর-বিরোধী লড়াইয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব:

প্রথমটি হলো- স্বল্প ও মধ্যমআয়ের দেশগুলোতে মনোযোগ দিয়ে সমন্বিত বহু-বিভাগীয় এবং সম্মিলিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা। দ্বিতীয়টি হলো, ভালো উৎপাদন, পরীক্ষাগার, অনুশীলন ও নজরদারি কাঠামোর ওপর জোর দিতে হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবে, সবার জন্য সাশ্রয়ী ও কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে মালিকানা শেয়ার ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করার কথা বলেন তিনি।

শেষ দুই প্রস্তাবে বলা হয়েছে- এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকা প্রয়োজন। আর অংশীদারত্বের মাধ্যমে টেকসই অর্থায়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।